ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জিমে কেঁদে ফেললেন ইলিয়ানা, কিন্তু কেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪১ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ১১:০২ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

বলিউড অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ জিমেই আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেললেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই কান্নাভেজা মুখের ছবি দিয়ে নিজেই একথা জানালেন বলি-সুন্দরী। তাঁর সেই ইনস্টাগ্রামের একাধিক স্টোরি থেকেই জানা গেল বেশ কিছুদিনের বিরতির পর ফের শরীরচর্চা শুরু করেছেন তিনি।

আবার আরও একটিতে লিখেছেন জিমে তার ভেঙে পড়ার ঘটনা এই প্রথম। তা কেন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি? সেকথাও নিজেই জানিয়েছেন 'বরফি' ছবি খ্যাত এই অভিনেত্রী।

বেশ কিছুদিনের বিরতির পর শরীরচর্চা ফের শুরু করতে হয়ত দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ইলিয়ানা। জিমেই সেসবের শেষে সান্ত্বনা দেওয়ার সুরে অভিনেত্রীর ফিজিক্যাল ট্রেনার তাকে বলেন যে নিজেকে আরও একটু ভালোবাসতে। নিজেকে নিয়ে যেন সন্তুষ্ট থাকেন ইলিয়ানা। 'শরীরকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানায় যে তা এখনও সচল। যতটুকু করতে পারছ তা নিয়ে আনন্দে থেকো'। ট্রেনারের এই দর্শন আত্মোপলব্ধি করামাত্রই কৃতজ্ঞতায় আবেগপ্রবণ হয়ে যান বলি-সুন্দরী।

প্রসঙ্গত, এর আগে বডি শেমিং নিয়েও মুখ খুলেছিলেন ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ। জানিয়েলেন, কিশোরী বয়স থেকেই এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তিনি। তার মতে,বডি শেমিংয়ের ' ক্ষত' শুকিয়ে গেলেও মনের গভীর গোপনে এর দাগ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায়। 

সঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন,' যে যা বলছে বলুক, পাত্তা দিই না' ধরণের মনোভাব মুখে বলা যতটা সহজ, হাতে কলমে করে দেখানোটা ততটাই কঠিন। 'বরফি'-র অভিনেত্রীর কথায়,'নিজের বিষয়ে কী ধারণা পোষণ করছি আমরা, সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটাই।'

এ প্রসঙ্গে ইলিয়ানা বলেন যে বছর ১২ বয়স থেকেই তাকে সম্মুখীন হতে হয়েছে এরকম পরিস্থিতির। একাধিকবার। এমনকি তার নিতম্ব আকার নিয়েও নানান কটু প্রশ্নের সরাসরি সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। ইলিয়ানার মতে, তখন সেসব এড়িয়ে গেলেও বারবার অন্যদের মুখে শরীরী বিষয়ে নানা কটাক্ষ ও হেনস্থা শুনতে শুনতে তারও মনে হয়েছিল সেসব বুঝি সত্যিই। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে অসম্ভব মনের জোর ও মানসিক কাঠিন্যের প্রয়োজন সেকথাও জোরের সঙ্গে জানান তিনি।

ইলিয়ানার কথায়,' এ ব্যাপারে নিজের বিষয়ে,শরীরের ব্যাপারে আমি কী ভাবছি, কেমন ভাবছি সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। আর কিচ্ছু নয়। প্রতিদিন নিজেকে আমি এই কথাটাই মনে করাই।'

এসি