সীমান্ত হত্যায়
‘বাংলাদেশের উদ্বেগকে পশ্চিমবঙ্গের সুশীল সমাজের সমর্থন’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৮:৫৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ (২০ নভেম্বর) বলেছেন, প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সুশীল সমাজ সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় সংবাদকর্মীদের বলেন, পশ্চিম বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) এর সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং শিল্পীরা সম্প্রতি সীমান্তে যে কোনো ধরনের হত্যা বন্ধ করার দাবি উত্থাপন করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করেন পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এবং রাজ্য সরকারের পাশাপাশি ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে। তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে বাংলাদেশী বা ভারতীয় যেই হোক না কেন, কোন হত্যাকান্ডই দেখতে চাই না। সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং এটা ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতির পরেও সীমান্তে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
ড. মোমেন ভারতীয় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা বাহিনী পর্যন্ত কেন পৌঁছেনি তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এই বছর মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে সীমান্তে যে কোন মৃত্যু একটি উদ্বেগের বিষয়। সেই সফরকালে, উভয় পক্ষ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকেও নির্দেশ দেয় সাধারণ নাগরিকদের এই ধরনের মৃত্যুকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে নামিয়ে আনা।
সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
আরকে//