দারাজের ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রতারণা, মূল হোতা গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৫ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
গতকাল ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, আটককৃত ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতারণা করা ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনামক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া এড়াতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে দারাজ বাংলাদেশ এর সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে। দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন, “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরকে//