গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের সময় শিক্ষক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও ৩ শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। রাত পৌনে ১২টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮ টায় মেডিকেল ক্যাম্পাসের ভিতরের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলায় মেডিকেলের অধ্যক্ষ এতে বাধা দেয় এবং বিভিন্ন ভাবে বকাবকি করে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ আনেন। এতে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে না খেলার কথা বলেন এবং মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
ঘটনার এক পর্যায়ে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা শুরু করে। হামলার জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এতে কয়েক দফা সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষের হামলায় সদর থানার ওসি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক, কর্তব্যরত সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূচনা হয়। মেডিক্যাল কলেজের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে থাকে। এসময়ে মাঠের পাশ দিয়ে মেডিক্যালের ছাত্রীরা গেলে তাদের উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করে। যে কারণে ওই মাঠে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।’
নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদেরকে ইভটিজিংয়ের ঘটনা অস্বীকার করে জানান, মাঠে খেলা বন্ধ করার জন্য এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার ডিসি অফিসে বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং মেডিকেল কলেজ প্রশাসন।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেডিকেল কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কেআই//