ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে বাধা ব্রিজের উচ্চতা (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১ বুধবার

রাজধানীর চারপাশে হবে বৃত্তাকার নৌপথ। দেড় যুগ ধরে এমন স্বপ্নও দেখেছে ঢাকার মানুষ। কিন্তু বাস্তবে ফল দেয়নি। উল্টো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিক ব্রিজের উচ্চতা। 

পৌনে তিনশ’ বর্গকিলোমিটারের ঢাকা। মানুষের বাস প্রায় ৩ কোটি। এতোটুকু জায়গায় এতো বেশি মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম শুধুই সড়কপথ। আর অপরিকল্পনায় লুপ্তপ্রায় চারশ’ বছরের পুরনো ঢাকার নদীপথ। 

রাজধানী ঢাকা গড়েই উঠেছিল নদীর প্রবহমানতার উপর ভিত্তি করে। বর্ষায় টলমলে, শীতে যৌবন হারানো নদী তবুও দিয়েছিল যাতায়াতের ভরসা। সম্প্রতি সেতুর তলায় জাহাজের মাস্তুল বেধে যাওয়ায় নৌ চলাচল হচ্ছে বাধাগ্রস্ত।

বলছিলাম বছিলা, আমিনবাজার, আশুলিয়া, ধউর, বিরুলিয়া, তেরমুখ, প্রত্যাশা, পূর্বাচল, কায়েতপাড়া, চনপাড়া, বেরাইদ আর ইছাপুরার ভাঙা সেতুর কথা। তিনটি সড়ক সেতু আর দুটি রেল সেতু আছে টঙ্গীতে।

এসব সেতু নির্মাণে নৌ-পথের শ্রেণী অনুযায়ী উচ্চতা রাখা হয়নি। নকশায় গার্ডারের উচ্চতা থাকার কথা ছিল ২৫ ফুট। বাস্তবে আছে অনেক কম। 

রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমিনবাজারে আরও দুটি সেতু হত্যার কথা, বসিলাতে নতুন করে সেতু হওয়ার কথা, বুড়িগঙ্গার উপর আরও কয়েকটি সেতু হওয়ার কথা। এগুলোর ডিজাইনগুলো ঠিকমতো হয়েছে কিনা, এটি অনেক বড় বিষয়।

বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, পুরোপুরি টঙ্গি থেকে আবার ঘুরে এসে টঙ্গিতে যাতায়াত করছে না ঠিকই। কিন্তু বিরুলিয়া ও আসুলিয়া থেকে সদরঘাট, সদরঘাট থেকে মুঞ্জিগঞ্জ-নারায়গঞ্জ, আবার নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ বেশি কিছু নৌযান বালু নদী দিয়ে টঙ্গি পর্যন্ত যাতায়াত করছে।

সড়ক জনপথ, রেলওয়ে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য বিভাগের সাথে সমন্বয় না থাকায় বেহাল সেতুতে অবস্থা কাহিল জনগণের। 

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অন্যান্য যে সেতুগুলো আছে নতুনভাবে সেগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে। আর কয়েকটি আছে যা আমাদেরকে অপসারণ করতে হবে।

যান চলছে প্রত্যেক সেতুতে। ইচ্ছা থাকলেও তাই আপাতত ভাঙ্গা সম্ভব নয়- দাবি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কয়েকটি ব্রিজের কারণে বাণিজ্যিকভাবে আমরা করতে পারি নাই। যেমন টঙ্গি রেল ব্রীজ।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১শ’ ১০ কিলোমিটার নৌপথের সমীক্ষা চলছে। কারিগরি নিরীক্ষা শেষে আশা জাগবে বৃত্তাকার নৌপথে।

এএইচ/