বঙ্গবন্ধু শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত। উপমহাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করে গেছেন এবং সে জন্যেই তিনি আমাদের বৈদেশিক নীতি করেছেন— ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন, ‘পিস ইজ ইম্পারেটিভ ফর ডেভেলপমেন্ট’। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে এই পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছেন। তিনিও সবসময় শান্তির অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এথিক্স অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল)- এর ইনোভেশন সেন্টার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য শান্তি সম্মেলন সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ কমানোর জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটি হচ্ছে শান্তির সংস্কৃতি এবং এই প্রস্তাবটি পৃথিবীর সব দেশ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে থেকে মানুষে মানুষে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ালে টেকসই শান্তি সারা পৃথিবীতে স্থাপিত হবে। বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর জন্য শান্তির একটি মডেল- এই সম্মেলনে সেটা তুলে ধরা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এথিক্স অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল)- এর ইনোভেশন হাব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, আমাদের মানবসম্পদ বিশেষ করে আমাদের সৃষ্টিশীল নতুন প্রজন্মকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইএটিএল যে ইনোভেশন হাব তৈরি করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ইএটিএল ইনোভেশন হাবের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্যসচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিষ্ট এ কে এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিক্রম কুমার ঘোষ, ইএটিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসি