প্রথম দিনেই পদত্যাগ সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেছেন সুইডেনের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।
বুধবার সুইডেনের ক্ষমতাসীন জোটের নেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার জোটের শরিক দল সরকার থেকে সরে দাঁড়ালে এবং মিজ অ্যান্ডারসনের বাজেট প্রস্তাব পাস না হওয়ায় পদত্যাগ করেন তিনি।
ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক, গ্রিনস পার্টি মন্তব্য করেছে যে তারা ‘প্রথমবারের মত কট্টর ডানপন্থীদের উত্থাপিত বাজেট’ মেনে নিতে পারছে না।
অ্যান্ডারসন সাংবাদিকদের জানান, “আমি স্পিকারকে জানিয়েছি যে আমি পদত্যাগ করতে চাই।” তবে তিনি বলেছেন যে, একক দলের নেতা হিসেবে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের এই নেতা বলেন, “কোনো একটি দল জোট ছেড়ে বের হয়ে গেলে জোট সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার সাংবিধানিক একটি চর্চা রয়েছে। আমি এমন একটি সরকারের নেতৃত্ব দিতে চাই না যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।”
সংসদের স্পিকার জানিয়েছেন দলের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানতে তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
অ্যান্ডারসনকে বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করা হয়, কারণ সুইডিশ আইন অনুযায়ী সিংহভাগ সাংসদ তার বিরুদ্ধে ভোট না দিলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা পান।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ৫৪ বছর বয়সী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতাকে সংসদের একাংশ দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়।
ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি শেষ মুহূর্তে বাম দলের সঙ্গে জোট তৈরি করে। তার দল দ্য গ্রিনস পার্টির সাথেও জোট অক্ষুণ্ণ রাখে।
সংসদের ৩৪৯ সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন মিজ অ্যান্ডারসনের বিপক্ষে ভোট দেয়। আর তার পক্ষে ভোট দেয় ১১৭ জন সাংসদ। তবে আরো ৫৭ জন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকলে এক ভোটে বিজয়ী হন তিনি।
উপসালা শহরের সাবেক জুনিয়র সাঁতার চ্যাম্পিয়ন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৯৬ সালে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী গোরান পেরসনের উপদেষ্টা হিসেবে।
মিজ অ্যান্ডারসন গত সাত বছর সুইডেনের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বুধবার সু্ইডেনের সংসদ সদস্যরা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনকে সমর্থন দেয়ার আগ পর্যন্ত সুইডেনই ছিল একমাত্র নর্ডিক দেশ যাদের কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী ছিল না। তবে বুধবার সকালে সুইডেনের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেও একই দিন সূর্য ডোবার আগেই তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সূত্র : বিবিসি
এসএ/