ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিশুরাও হতে পারে অবসাদের শিকার, কী করবেন? 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

করোনা অতিমারী আমাদের প্রত্যেকের জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। শারীরিক তো বটেই মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রবল আঘাত হেনেছে এই অতিমারী। নানান ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অবসাদ, মানসিক চাপ। তবে শুধু পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যই নয়, বরং বাচ্চারাও অবসাদের শিকার হচ্ছে। অনেকে ভাবতেই পারেন না যে, বাচ্চারাও অবসাদের শিকার হতে পারে? কিন্তু বাচ্চাদের অবসাদের পিছনে করোনা ছাড়াও আরও অনেক বিষয় দায়ী। 

একটি সমীক্ষার পর জানা যায় যে, পড়াশোনা, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক সমস্যা, মা-বাবার পারস্পরিক সম্পর্কে সমস্যার কারণে পরিবারের খুদে সদস্যের মনে অবসাদ দানা বাঁধে। বাচ্চাদের এই অবসাদের কথা বুঝে উঠতে না পারলে তা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং তারা আত্মহত্যা প্রবণও হয়ে উঠতে পারে। তাই বাচ্চাদের ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখলেই সতর্ক হতে হবে।

জেনে নিন কী ভাবে বুঝবেন যে আপনার সন্তান অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কিনা। লক্ষণগুলো দেওয়া হলো

বাচ্চারা নিজের মনের কথা ব্যক্ত নাও করতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ব্যবহারে নিম্নলিখত পরিবর্তন দেখে সতর্ক হোন

বিরক্তি ও রাগ

ব্যবহার ও মেজাজে পরিবর্তন

খিদে বেড়ে বা কমে যাওয়া

ঘুম বেড়ে বা কমে যাওয়া

আবেগপ্রবণ বিস্ফোরণ

বার বার মাথাব্যথা বা পেটে ব্যথার অভিযোগ জানালে

মনোযোগের অভাব

অবাধ্যতা

পড়াশোনায় অবনতি

নেতিবাচক চিন্তাভাবার প্রভাব বৃদ্ধি

মরে যাওয়া বা মৃত্যুর কথা বলা

এ ছাড়াও বাচ্চাদের ওপর রাগ করলে কিংবা মারধর করলেও বাচ্চারা অবসাদের শিকার হয়ে পড়তে পারে। কথায় কথায় বাচ্চাদের বিরোধিতা করলে তাদের মস্তিষ্কে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সমীক্ষা অনুযায়ী বাচ্চাদের সঙ্গে অধিক কঠোর ব্যবহার করলে তাদের মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী অংশ প্রভাবিত হয়। যার ফলে তাদের মধ্যে ব্যাকুলতা ও অবসাদ বৃদ্ধি পায়।

মা-বাবা কী করবেন?

বাচ্চাদের মধ্যে উপরোক্ত লক্ষণ দেখা দিলে সেটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করে দেখা উচিত। 

অবসাদের কারণ খুঁজে বের করে তা থেকে তাদের মন সরানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চাদের সঙ্গে ঘুরতে যান, আউটডোর গেম খেলুন। তাদের খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে দিন।

অবসাদের শিকার হলে বাচ্চারা উচিত-অনুচিত কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। তাদের মনের কথা প্রকাশ করার সুযোগ করে দিন। সন্তান কী চায় তা বোঝার চেষ্টা করুন। 

সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি