শীতকালে প্রবীণরা সুস্থ থাকবেন কীভাবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার
দিন দিন নামছে তাপমাত্রার পারদ। শীত অনেকের প্রিয় ঋতু হলেও শীতল আবহাওয়া অনেকের জন্যই বেদনার। বিশেষ করে প্রবীণদের জন্য মোটেও সুখকর নয় শীত ঋতু। কারণ এই সময় বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় তাদের।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
শীতে বয়স্কদের প্রধান সমস্যা হল শ্বাসজনিত সমস্যা। এসময় শ্বাসনালীর প্রদাহ বাড়ে। এছাড়া সর্দি-কাশি তো আছেই। তাই এই ঋতুতে বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়ার প্রবণতাও অনেকটাই বাড়ে। এই নিয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
এই ঋতুতে কমবয়সীদের ত্বকে নানান সমস্যা দেখা যায়, সেখানে বয়স্কদের সমস্যা হওয়া তো বেশ স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে চুলকানো, ত্বক ফেটে যাওয়া, রক্ত বেরনো, ঘা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
শীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেড়ে যায় রক্তচাপ। আর এই রক্তচাপ বাড়ার কারণেই স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক বাড়ে বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
শীতে অনেকেই পানি পানে অবহেলার পাশাপাশি হাঁটাচলাতেও অলস হয়ে যায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে থাকলে শরীরে বিভিন্ন অংশের রক্তনালীর মধ্যে রক্তচলাচল ব্যহত হয়। তখন সেই অংশ নীল হয়ে যায়।
শীতে বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিতে পারে উইন্টার ডায়রিয়া। এতে পায়খানার পাশাপাশি বমিও হয়। তাই সবাধান থাকতে হবে।
খুব শীতে অনেক সময় শরীর একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে পড়ে। এই সমস্যার নাম হাইপোথার্মিয়া। তখন নিতে হবে দ্রুত ব্যবস্থা।
এ সব সমস্যা থেকে বাঁচবে কী উপায়ে?
> শীতকালে খুব ভোরে বা রাতের দিকে একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে বের না হওয়াই ভালো । একান্তই বের হতে হলে, সারা শরীর ভালো করে ঢেকে বের হতে হবে।
> প্রয়োজন না হলে শীতের কাপড় পরবেন না। কারণ শীত না লাগলেও শীতের কাপড় পড়লে ঘেমে যেতে পারেন, এ থেকে অসুস্থ হতে পারেন।
> শীতকালে বাড়িতে মোজা পরার অভ্যাস করুন। তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় অবশ্যই মোজা খুলে ঘুমাবেন। কারণ মোজা পরে ঘুমালে রাক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে।
> শীতে বাড়ির চাদর, বালিস নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
> নিয়মিত শরীরে ময়শ্চারাইজার মাখুন।
> সারাদিন রুম হিটার চালিয়ে রাখবেন না।
> নিয়মিত গোসল করুন। তবে দিনের প্রথমভাগেই গোসল সারতে হবে এবং তা কুসুম গরম পানিতে।
> প্রয়োজনে গরম পানির ভাপ নিন। এতে শুকনো কাশি, গলা ব্যথা কমবে।
> বাড়ির বাইরে মাস্ক পরুন। ধুলোবালি, ময়লা থেকে বাঁচবেন।
> প্রেশার, সুগার নিয়মিত মাপুন।
> পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
> কোনও গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখবেন না।
> এক্ষেত্রে শুধু প্রবীণ মানুষটিই নন, বাড়ির লোকেরও বড় দায়িত্ব রয়েছে প্রবীন মানুষটির উপর খেয়াল রাখার।
সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি