ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

অবশেষে সেঞ্চুরি হাঁকালেন লিটন দাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে লিটন দাস

সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে লিটন দাস

টি-টোয়েন্টিতে টানা ব্যর্থ হওয়ায় নানা সমালোচনার শিকার হওয়া লিটন দাস অবশেষে সবকিছুরই জবাব দিলেন নিজের উইলো দিয়েই। চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অপরাজিত আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

পাকিস্তানি বোলিং তোপের মুখে লাঞ্চের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপর্যয়ে ঠিক তখনই ক্রিজে এসে মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। পরপর ফিফটিও তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। বড় জুটি গড়ার পথে টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা অবশেষে তুলে নেন লিটন। এর আগে ৯টি ফিফটি হাঁকালেও ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাচ্ছিলেন না উইকেটকিপার এই ব্যাটার। যার ফলে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দুইশ পার করে এখন ছুটছে বড় লক্ষ্যেই।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃতীয় সেশনের খেলা চলছে। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৫ রান। লিটন দাস ১০০ রানে এবং মুশফিকুর রহিম ৭৭ রানে ক্রিজে আছেন। 

এর আগে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক মোমিনুল হক সৌরভ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ থিতু হনে পারেননি সাইফ হাসান। পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বাউন্সারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উইকেট হারান এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১৪ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।

সাইফের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমানও। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিদায় নেন তিনিও। ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মোমিনুল হকও। সাজিদ খানের বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে উইকেট হারান তিনি।

তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসাইন শান্তও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ফাহিম আশরাফের বলে সাজিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিদায় নেন তিনিও। এ নিয়ে পরপর তিন ব্যাটারই ১৪ রানে আউট হন এদিন। যাতে পঞ্চাশের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক দল।

তবে সেখান থেকেই জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করতে ক্রিজ আঁকড়ে থেকে প্রথম সেশনটা নির্বিঘ্নেই পার করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এমনকি লাঞ্চের পর এসে দ্বিতীয় সেশনটাও নিজেদের দখলে নেন এই দুই টাইগার। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১৭৯ রানের অনবদ্য এক জুটি। 

সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। প্রথমে নিজের ৯৫তম বলে নোমান আলীকে চার মেরে ব্যক্তিগত দশম ফিফটি আদায় করেন লিটন। তবে এই ফিফটিকে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতকে রূপ দিতে তাঁকে মোকাবেলা করতে হয় আরও ১০৩টি বল। যে ইনিংস খেলার পথে ১০টা চারের সঙ্গে একটা ছক্কাও হাঁকান লিটন।

অপরপ্রান্তেও ফিফটি হাঁকিয়ে শতকের পথেই হাঁটছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। অবশ্য ফিফটি মার্কে পৌঁছতে সময়টা একটু বেশিই নেন মুশফিক। ৫৩তম ওভারে হাসান আলীকে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০৮তম বলে ল্যান্ডমার্কে পৌঁছান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যা তাঁর ক্যারিয়ারের ২৪তম টেস্ট ফিফটি।

এনএস//