সমমনা সংগঠনের সঙ্গে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর মতবিনিময় সভা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০০ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১২:০১ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট, বাংলাদেশ বুদিষ্ট ফেডারেশন, রমনা কালি মন্দির, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, জাগো বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, প্রাধ্যক্ষ জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লোকনাথ ফাউন্ডেশন, অন লাইন অ্যাকটিভিটস ফোরাম, জগন্নাথ হল এলামাই এসোসিয়েশন, লইয়ার’স সম্প্রীতি, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড, হরিজন ঐক্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সংহতি পরিষদ, স্থপতি পরিষদ, ফার্মেসী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী মহাশ্মশান ও মন্দির, বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটিসহ পঞ্চাশটি সংগঠন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে।
মতবনিময় সভায় বক্তারা বলেন, একটি চিহ্নিত অপশক্তি সব সময় এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে। ধর্মকে অপব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক গুটির চাল হিসাবে। বাংলাদেশেও এক শ্রেণির ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী এই স্পর্শকাতর হাতিয়ারকে ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক দেশের তকমা লাগানোর জন্য দেশের অভ্যন্তরের একটি চিহ্নিত গোষ্ঠীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী অত্যন্ত সক্রিয়।
হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সব মিলিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার যুদ্ধ একাত্তর। ফলে নতুন মানচিত্র বা পতাকাই নয়, আমরা ১৯৭২ সালে পেয়েছি একটি সেক্যুলার গণতান্ত্রিক সংবিধান। মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পেছনের চালিকাশক্তি ছিল এই অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য।
সমাজে সম্প্রীতি সৃষ্টির দায়টা যেমন রাষ্ট্রযন্ত্রের ও রাজনৈতিক দলের, তেমনি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সক্রিয় লাগাতার তৎপরতার বিষয়টিও বহুমাত্রিক বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।
মতবিনিময় সভার সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আজকের এই মতবিনিময় সভা। আমরা যারা সম্প্রীতির আদর্শ ধারণ করি, অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, আসুন সর্বত্র সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে আজ একাত্ম হই। গড়ে তুলি সম্প্রীতির বাংলাদেশ ।
এসি