‘ভেন্টিলেশনে’ জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। তার ছেলে বর্ষণ ইসলাম এ খবর জানিয়েছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “বাবাকে আগেই তারা ভেন্টিলেশন দিতে চেয়েছিল, আমরা রাজি হইনি। উনার অনেক কষ্ট হচ্ছিল, আর কত সহ্য করব। শুক্রবার সকাল থেকে ভেন্টিলেশন দিয়েছে। লাইফ সাপোর্ট না, শুধু ভেন্টিলেশনে আছেন উনি।”
অধ্যাপক রফিকুল এখন ঘুমাতে পারছেন জানিয়ে বর্ষণ বলেন, “নিউমোনিয়া যাতে কেটে যায়, সেজন্য আমরা ৫-৭ দিন অপেক্ষা করব।”
এর আগে পেটের ব্যথা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। তখন থেকে তিনি সেখানে বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা রফিকুল ইসলামকে ভারতে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।
নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন। ৮৭ বছর বয়সী এই ভাষাবিজ্ঞানী, লেখক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করেন তিনি।
বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেইসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তার লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই তার হাত দিয়ে এসেছে।
স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক রফিকুল ইসলাম বেশ কয়েকটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপালন করেছেন। ২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাকে তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়।
এসএ/