নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: গুলি করে যুবলীগ নেতাকে হত্যা
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:১১ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১০:১৯ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
ভোলা সদর উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মো. খোরসেদ আলম টিটু (৩২) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধনিয়া নাছির মাঝি ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত খোরশেদ আলম উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কানাইনগর গ্রামের তছির আহম্মেদের ছেলে। সে ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের চাচাতো ভাই মো. জিসান জানান, শুক্রবার সকালে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু তাঁর কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য মদনপুরে যায়। তার সাথে ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলমও ছিল। দুপুরে খাবার খেয়ে মদনপুর থেকে তারা যাত্রীবাহী ট্রলারে করে ভোলায় আসছিলেন।
ট্রলারটি নাছির মাঝি ঘাটের কাছাকাছি আসলে পেছন দিক থেকে একটি স্পিডবোটে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় ট্রলারের মাঝি ট্রলারটি জোরে চালিয়ে স্পিডবোটকে ধাক্কা দিলে বোটটি উল্টে যায়। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীরা ট্রলার লক্ষ করে গুলি করতে থাকে। এতে ট্রলারে থাকা খোরশেদ আলম টিটুর মাথায় গুলি লাগলে সে গুরুতর আহত হয়।
পরে ট্রলারটি ঘাটে আসলে আহত খোরশেদ আলম টিটুকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পরিবারের দাবি মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেট তাঁর ভাগিনা নিরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিজয়ী প্রার্থী নাছির উদ্দিন নান্নুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে। তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিন নান্নু বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেট।
এএইচ/