ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

নির্বাচনে জয় বেড়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর, বিব্রত ক্ষমতাসীনরা (ভিডিও)

জসিম জুয়েল

প্রকাশিত : ১০:৫১ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১১:৫৫ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার

প্রথমের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে জয় বেড়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর। বিএনপির অনুপস্থিতি বিদ্রোহীর বাক্স ভরাটের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। আওয়ামী লীগের অভিমত, সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেসামাল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দলীয় কোন্দল আর মনোনয়নের বাণিজ্যের অভিযোগ আছে কিছু নেতার বিরুদ্ধে। যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। 

প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১৪৮ জন জয়ী হয়েছিলেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন ৪৯ জন। একইভাবে ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপিতে নৌকার মাঝি হয়েছেন ১১৯ জন। পক্ষান্তরে স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছিল ৩৬ জন।

কিন্তু প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৪৮৬ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছে ৩৩০ টিতে। অর্থ্যাৎ ৪০ শতাংশ ইউপিতে হারতে হয়েছে নৌকা প্রতীককে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে কেন হারতে হচ্ছে জানান এক প্রার্থী। 

কুষ্টিয়া সদকীর বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ বলেন, যখন ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচন করা হবে ঠিক সেই সময় রাজনীতির বাইরে থেকে আসা নৌকার পালে চেয়ারম্যান হওয়া যাবে এমন এমন ব্যক্তিরা নৌকা পাওয়ার আশা করে এবং নৌকায় পায়। যেটা আজকে দলের জন্য একটা অমঙ্গলজনক বিষয়। 

এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় দফার নির্বাচনে যারপরনাই বিব্রত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারাই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের শাস্তি অনিবার্য। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল দল, একটি রাজনৈতিক দল এবং একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনে শৃঙ্খলা না মানলে কারোর জায়গা নেই। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাকে মাপ করা হবে অথবা তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, তার বিচার হবে না- এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। 

বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদদাতা খুজেঁ বের করার চেষ্টা হচ্ছে, বলেন বাহাউদ্দিন নাসিম। 

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, প্রভাবশালী কোন কোন নেতারা অথবা স্থানীয় মন্ত্রী-এমপি এ ধরনের পর্যায়ে কেউ কেউ হয়তো জড়িত থাকার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। যারা করেছে তাদের নামসহ মানুষজন নেত্রীকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য আওয়ামী লীগের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে নির্দেশ দিয়েছে।

বিদ্রোহী প্রার্থী কমানোর ব্যাপারে চেষ্টার ঘাটতি নেই, জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মেসেস পৌঁছানোর পরে আগামী দিনে এটা কমে আসবে।

এএইচ/