ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

ওমিক্রনে আক্রান্ত আফ্রিকানদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৪ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১১:২৬ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার

অস্ট্রেলিয়া নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি দেশে উপর। কারণ সেই দেশের সরকার কোভিড-১৯’র নতুন ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট মাধ্যমে মহামারীর আরেকটি তরঙ্গ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দেশগুলো হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো, এসওয়াতিনি, সেশেলস, মালাউই এবং মোজাম্বিক।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, “সরকার সেই দেশগুলোর নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করবে এবং অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের এবং দেশগুলো থেকে ফিরে আসা নাগরিকদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।”

এই বিধিনিষেধগুলো শিক্ষার্থী, অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের অপেক্ষায় আছে এবং দক্ষ অভিবাসীদের জন্যও প্রযোজ্য থাকবে। যারা গত ১৪ দিনের মধ্যে নয়টি দেশের যে কোনও একটিতে ছিলেন।

গ্রেগ হান্ট আরো জানান, যদি চিকিৎসা প্রমাণ দেখায় যে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন, আমরা সেগুলো নিতে দ্বিধা করব না। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা গুলোকে শক্তিশালী করা বা প্রসারিত করা হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি দেশ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশজন ভ্রমণকারী উত্তর অঞ্চলের হাওয়ার্ড স্প্রিংস সুবিধায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯ জনের কোভিড পরিক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এটি এখনও জানা যায়নি যে একটি ইতিবাচক পরীক্ষার ফলাফলটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কিনা।

এই মাসের গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়া মহামারী চলাকালীন প্রথমবারের মতো তার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। যাতে সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই দেশে ফিরে যেতে দেয়।

জুনের শেষের দিকে অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রাদুর্ভাব তার পূর্বাঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এই বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে সংক্রমণ রোধ করেছিল। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ০৫ হাজার জন আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৯শ’ ৮৫ জন মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, যা উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
সূত্র : রয়র্টাস
আরএমএ/এসএ/