ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

দালালচক্রের দখলে পঙ্গু হাসপাতাল (ভিডিও)

রাসেল খান

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১১:৫৪ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার

হাসপাতাল জনগণের কিন্তু চালায় দালালচক্র। আছে ওষুধ সিন্ডিকেট আর নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী। এসব কারণে রোগীদের অঙ্গহানির ঘটনাও বেড়েছে। সব মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন এই ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে এসব চক্র।

চা দোকানি জসিম উদ্দিন। সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পা থেতলে গেছে। অতপর পঙ্গু হাসপাতালে এসে দালালের খপ্পরে পড়েন। অল্প টাকায় উন্নতমানের মেডিকেল ডিভাইস বা ইমপ্ল্যান্ট সরবরাহ করবেন, এই শর্তে টাকা নেন দালাল মানিক হোসেন। 

ভূক্তভোগী জসিম জানান, ডাক্তার বলেন পায়ে রক্ত জমে গেছে, কেটে ফেলতে হবে। কেটে ফেলার পর একটি গর্ত হয়ে গেছে, এখন শুকাচ্ছে না। এক বছর ধরে পায়ের অবস্থা এরকম। 

ভুল চিকিৎসায় একটি পা কেটে ফেলতে হয়। অন্য পা’র অবস্থাও বেশ খারাপ। কর্মক্ষম জসিম বেঁচে আছেন অন্যের উপর ভরসা করে।

পঙ্গু হাসপাতালে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে ৪৮টি চক্র। বিদেশি নামে তারা চালাচ্ছে দেশে তৈরি কুটির শিল্প।

সাভারের বিরুলিয়ার বিডি অর্থোকেয়ার ইমপ্লান্ট কারখানা। তৈরি হচ্ছিল পঙ্গু রোগীর মেডিকেল ডিভাইস। অনুমোদন নেই, নেই ট্রেড লাইসেন্সও। এমনকি ওষুধ প্রশাসনও সন্ধান জানে এ কারাখানার।

জিএমপি নীতি বলছে, এসব যন্ত্রাংশ বানাতে সার্বক্ষণিক দেখভাল করবেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। পাওয়া গেল না কাঙ্ক্ষিত কাউকে।

বিডি অর্থোকেয়ারের পরিচালক শাহ আলম বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে কোন জিনিস হুট করে হয় না। 

তথ্য বলছে, পঙ্গু রোগীদের যেসব ডিভাইস ও সার্জিক্যাল ইকুইপমেন্ট লাগে তা নিয়ন্ত্রণ করবে ওষুধ প্রশাসন। যন্ত্রপাতি আমদানি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে থাকতে হবে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন। 

ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক আইয়ূব হোসেন বলেন, “জিএমপি গাইড অনুযায়ী সে একটা প্ল্যান্ট তৈরি করবে এবং সেই প্ল্যান্টে প্রোডাকশন ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ সবগুলো ডিপার্টমেন্ট থাকতে হবে। যেহেতু আমি এই প্রকল্পটি দেখি, সেই ধরনের কোন প্রকল্প এখন পর্যন্ত জমা পড়েনি।”

রোগী ভর্তি থেকে ছাড় পাওয়া পর্যন্ত পঙ্গু হাসপাতালের পরতে পরতে এভাবেই বিস্তৃত অনিয়ম আর দুর্নীতি।

এএইচ/