ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

ভালো খেলেও ‘বঞ্চিত’ থাই কন্যারা, সরব নেটদুনিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৬:০৬ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১ রবিবার

নিজেদের মোবাইলের ওয়ালে বিশ্বকাপের লোগো ব্যবহার করেন থাই কন্যরা

নিজেদের মোবাইলের ওয়ালে বিশ্বকাপের লোগো ব্যবহার করেন থাই কন্যরা

টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আসন্ন নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট দেয়া হয়েছে দলগুলোকে। অথচ যে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আইসিসি আগামী বছর বিশ্বকাপ এবং ২০২২-২৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিট দিয়েছে, সেই র‌্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে নেই থাইল্যান্ড। কারণ দেশটি আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ‘জাস্টিস ফর থাইল্যান্ড’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইটও করছেন অনেকে।

করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি বা ‘ওমিক্রন’ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার জেরে ৫০ ওভারের নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব বাতিল হয়ে গেছে। যার ফলে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে তিনটি দল (বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান)। 

অন্যদিকে, সেই র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতেই ২০২২-২৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ছাড়পত্র পেয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ডও। যে দুটি দল বাছাইপর্বে  ছিল ‘এ’ গ্রুপে। শ্রীলঙ্কা একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিল, আর আয়ারল্যান্ড খেলেছিল দুটি ম্যাচ। দু'দলেরই পয়েন্ট ছিল দুই করে। বেশি ম্যাচ খেললেও দু'দলের থেকে পয়েন্টের নিরিখে এগিয়ে ছিল ‘বি’ গ্রুপে থাকা থাইল্যান্ডের মেয়েরা। আর সেই বিষয়টা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

একাংশের বক্তব্য, যতই করোনা পরিস্থিতি হোক- আইসিসি এমন একটা মাপকাঠিতে আগামী বিশ্বকাপ এবং ২০২২-২৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দল বেছে নিল, যে মাপকাঠির আওতায় পড়ে না সবকটি দল। পূর্ণ সদস্য ছাড়াও যখন অন্য দেশ আছে, তখন কেন র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে টিকিট দেয়া হলো? কারণ থাইল্যান্ড তো র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকারই সুযোগ পায়নি। তাহলে এটা কী ধরনের নির্ণায়ক প্রক্রিয়া হলো? 

এদিকে, কোয়ালিফাই টুর্নামেন্ট খেলার সময় নিজেদের মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপারে যথারীতি বিশ্বকাপের লোগো ব্যবহার করে রেখেছিলেন থাই কন্যরা সবাই। তবে আশাহত হয়ে রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়েন দলটির সদস্যরা। যা প্রকাশ হওয়ার পর আলোড়ন তুলেছে ক্রিকেট বিশ্বে।

বিষয়টি নিয়ে টুইটারেও সরব হয়েছেন অনেকে। তেমনই একজন বলেন, ‘এটা ট্রেন্ড করতে থাকব। এটায় হয়ত কোনও পার্থক্য হবে না। কিন্তু পুরো ক্রিকেট দুনিয়ায় এই বার্তা যাওয়াটা জরুরি।’ 

সেইসঙ্গে ‘জাস্টিস ফর থাইল্যান্ড’ হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে অনেকেই এখন একই সুরে কথা বলতে থাকেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে আইসিসির তরফে কিছু জানানো হয়নি এখনও।

এনএস//