ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পিএসজির বড় জয়, ইনজুরিতে নেইমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

লিওনেল মেসির তিন এসিস্টে ১০ জনের সেইন্ট এতিয়েনকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। এই ম্যাচের মাধ্যমে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হয়ে পিএসজির জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছে। একইসঙ্গে মেসি তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে একই দলের হয়ে মাঠে খেলার সুযোগ পেলেন। 

তবে গোঁড়ালির গুরুতর ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। ম্যাচ শেষের মাত্র দুই মিনিট আগে নেইমারকে কাঁদতে কাঁদতে স্ট্রেচারের সাহায্যে মাঠ ত্যাগ করতে দেখা গেছে। 

এখনো নভেম্বর মাস চলছে, অথচ ইতোমধ্যেই পিএসজি ১৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিসের থেকে ১৪ পয়েন্টের সুষ্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে লিগ ওয়ান টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। শনিবার দিনের শুরুতে আরেক ম্যাচে ধুকতে থাকা মেটজের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ করেছে নিস। 

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর ইনজুরিতেই কেটেছে রামোসের দিন। অবশেষে ৪ মাস ২০ দিন পর আজ রোববার সেইন্ট-এতিয়েনের বিপক্ষে লিগ ওয়ানে অভিষেক হলো স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। আর এই ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পেল ফরাসি জায়ান্টরা। ম্যাচে কোনো গোল না পেলেও দলের তিন গোলেই অবদান রাখলেন মেসি। অর্থাৎ এ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করলেন বার্সা ছেড়ে প্যারিসে আসা এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মেসির এ্যাসিস্টের সংখ্যা অবশ্য আরও বাড়তে পারতো। কারণ খেলার পঞ্চম মিনিতেই তার বাড়িয়ে দেওয়া বলেই লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলটি ভিএআর দেখে বাতিল করে দেন রেফারি।

উল্টো সেইন্ট-এতিয়েনের মাঠে ম্যাচের ২৩ মিনিটে অফসাইড ট্র্যাপ কাটিয়ে ডেনিস বুয়ানগা পিএসজির গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পিএসজি অবশ্য অফসাইডের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু ভিএআর গোলের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। 

লিগ ওয়ান টেবিলের তলানির দল সেইন্ট-এতিয়েন টানা দুই ম্যাচে জয়ী হয়ে পিএসজির বিপক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে দুই দলের খেলোয়াড়দের অবশ্য স্বাভাবিক খেলা খেলতে কিছুটা হলেও সমস্যা হয়েছে। পিএসজি পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু সেইন্ট-এতিয়েনের শক্তিশালী রক্ষনভাগের সামনে মেসি-নেইমাররা পেরে উঠছিলেন না। কিন্তু সব সমীকরণ পাল্টে যায় ৪৫ মিনিটে ফরাসি ডিফেন্ডার টিমোথে কোলোডিজিচাকের লাল কার্ড প্রাপ্তিতে। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বাজেভাবে চ্যালেঞ্জের অপরাধে ৪৫ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগে বাধ্য হন কোলোডিজিচাক। ভিএআরও কোলোডিজিচাককে বাঁচাতে পারেনি। এই ফাউল থেকে প্রাপ্ত ফ্রি-কিকে মেসির ফ্লোটেড শটে মারকুইনহোস দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান। 

দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা একপেশে ম্যাচ খেলেছে পিএসজি। ৭৯ মিনিটে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে পেনাল্টি এলাকায় ফাঁকায় থাকা এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দিকে বল ঠেলে দেন মেসি। দারুন ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ ডি মারিয়া। দারুন ছন্দে থাকা পিএসজি বড় ধাক্কা খায় শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে। সেইন্ট-এতিয়েনের এক ডিফেন্ডার পেছন থেকে পা বাড়িয়ে ফাউল করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নেইমার। প্রচন্ড ব্যাথায় কাতরাতে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু তাতেও খেলার মতো অবস্থা না ফেরায় তুলে নেওয়া হয় তাকে। এর কিছুক্ষণ পর ফের মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে হেডে বল জালে জড়ান মারকুইনহোস।

এই পরাজয়ে মেটজের থেকে গোল ব্যবধান পিছিয়ে থেকে টেবিলের তলানিতে নেমে গেছে সেইন্ট-এতিয়েন।
এসএ/