তালেবানের ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৬ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
দ্বিতীয় মেয়াদে তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করায় সেখানে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাশিয়া। মস্কোর শঙ্কা- দেশটির এই ভারসাম্যহীনতা মাদক, অস্ত্র চোরাচালান এবং এশীয় অঞ্চলে বড় রকমের অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের (আরআইএসি) রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভ্যালেরিও ফ্যাব্রি জানান, জঙ্গিদের পাশাপাশি মাদক চোরাচালানকারীরাও আফগানিস্তানের এই অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিতে পারে। ফ্যাব্রির মতে, রাশিয়া বুঝতে পেরেছে- আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা সমগ্র অঞ্চলের জন্য, এমনকি নিজের জন্যও ক্ষতিকর। তবে এটাও পরিস্কার যে, মস্কো চাইলেও একা তার বাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না।
কারণ হিসবে তিনি বলেন, 'সমগ্র আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান বিষয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং জড়িত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠছে। তালেবানকে শুরু থেকেই সহায়তা করে আসা ইসলামাবাদ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আফগানিস্তানের ইসলামপন্থী সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করছে, এর মধ্য দিয়েই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।'
এ ছাড়া আফগানিস্তানের অন্যান্য সমস্যার সাথে সাথে নতুন করে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা নিয়েও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, যারা কাবুলকে নিয়ে ভাবে এমন দেশগুলোকে নিয়ে কোয়ালিশন গঠন করা উচিত। যারা ক্ষমতাসীন তালেবানকে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আঁতাত থেকে দূরে থাকতে চাপ দিবে। অন্যথায় দেশটি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে পারে।
এসময় সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকার বিষয়ে ফেব্রি বলেন, রাশিয়া এ বিষয়ে অবগত যে, আফগানিস্তানে সোভিয়েত হামলার সময়, মুজাহিদিনরা যে বিদেশী সহায়তা পেয়েছিল তা পাকিস্তানের মাধ্যমেই আসে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগানিস্তানের গেরিলা মিলিশিয়াদের সঙ্গে সবগুলো অপারেশনে সমন্বয় করেছিল। এই বিশ্লেষক মনে করেন, আফগানিস্তানে আজ যেই বিশৃঙ্খলা, তার শুরুটা হয় পাকিস্তানের হাত ধরেই। আর, ২০ বছর দেশটিতে অবস্থানের পর খালি হাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে সেই নোংরা খেলার সমাপ্তি ঘটে।
এসি