খালেদার চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০১:৩৬ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় রেখে পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রেক্ষিতে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুর রহিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানান।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সরকারি আদেশে দেড় বছর থেকে মুক্ত রয়েছেন। এরমধ্যেই কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
খালেদার লিভার সিরোসিস হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন অবস্থায় বিএনপি নেতারা সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। খালেদার ভাই বিদেশ নেয়ার আবেদন করলেও তাতে এখনও সরকারের সাড়া মেলেনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে পোর্টাল হাইপারটেনশনজনিত বিভিন্ন কারণ, যেমন- ইসোফেজিয়াল ভ্যারিক্স, গ্যাস্ট্রিক ভ্যারিক্স, গ্যাস্ট্রিক এন্ট্রাল ভাসকুলার একটাশিয়া ইত্যাদি থেকে খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে রক্তপাত হতে পারে।
ইসোফেজিয়াল ভ্যারিক্স হতে রক্তক্ষরণ বন্ধে ইসোফেজিয়াল ভ্যারিসিয়াল লাইগেশন (ইভিএল) একটি বহুল ব্যবহৃত স্বীকৃত চিকিৎসা। বারবার রক্তক্ষরন বন্ধের ক্ষেত্রেও ইভিএল করা যায়। এছাড়া পোর্টাল হাইপারটেনশনের কারণে বারবার রক্তক্ষরণ এবং যথাযথ মাত্রার ওষুধ প্রয়োগের পরেও বারবার আসা পেটের পানির (রিফ্র্যাক্টরি এসাইটিস) চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ট্রান্সজগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস) করা যায়।
টিপস-এর ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরবর্তী জটিলতা বিশেষ করে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি অর্থাৎ লিভার রোগজনিত কারণে অজ্ঞান হওয়ার প্রবনতা বা অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এছাড়াও টিপস করার সময় হার্টের জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং শিরা পথে ডাই ব্যবহারে কিডনির জটিলতা বহুমাত্রায় বাড়তে পারে। অর্থাৎ টিপস করার সময়েও হার্ট বা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রসিডিউরজনিত জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের যথেষ্ট সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এসএ/