ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

জাতীয় পতাকার নকশাকার তিনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪২ এএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশা করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার আঁকা পাকিস্তানি সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের দানবমূর্তি সংবলিত পোস্টার- ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। দেশের জাতীয় প্রতীকসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, পর্যটন করপোরেশন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মনোগ্রাম অঙ্কন করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান।

২ ডিসেম্বর এই গুণি মানুষটির জন্মদিন। ১৯২১ সালের এই দিনে ভারতের তৎকালীন বর্ধমান জেলার নারেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পুরো নাম আবু শরাফ (শার্ফ) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

কামরুল হাসান ছোটবেলা থেকেই সফল সংগঠক হিসেবে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেন। দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তিনি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের তথ্যকেন্দ্রের প্রধান শিল্পী এবং শিশু সংগঠন মুকুল ফৌজ ও বিসিক নকশাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায়ও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। 

কামরুল হাসান জাতীয় কবিতা উৎসবে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে ‘দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে’ স্কেচটির অঙ্কন কার্য সমাপ্ত করার কয়েক মিনিট পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ তারিখে মারা যান। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।

শিল্পচর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। এছাড়াও তিনি প্রেসিডেন্ট’স গোল্ড মেডাল (১৯৬৫), বাংলাদেশ চারু শিল্পী সংসদ সম্মাননা (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫) সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৬৫সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রদান করেন চিত্রাঙ্কন এ উল্লেখ্যযোগ্য অবদান এর জন্য।
এসএ/