‘স্বেচ্ছায় রক্ত দানের মাধ্যমে মানুষ জাতির কল্যাণ করছে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
স্বেচ্ছা রক্তদাতারা তাদের রক্তপ্রবাহকে মূলত চেতনার প্রবাহে পরিণত করছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিক উল্লাহ খান।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় রক্ত দানের মাধ্যমে তারা শুধু একজন মানুষের কল্যাণ করছে না, জাতির কল্যাণ করছে। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কল্যাণ করছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. রফিক উল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানায় সংগঠনটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিক উল্লাহ খান আরো বলেন, রক্তদান ছাড়াও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন তাদের নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে শুদ্ধ, সচেতন ও জাগ্রত মানুষ গড়ে তুলছে।
স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ফারজানা রাব্বি খান এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী সানজিদা আক্তার মুন্নি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।
সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী।
ভবিষ্যতে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের বিশুদ্ধ রক্তের মাধ্যমে দেশের পুরো চাহিদা মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলোচকরা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের মোট চাহিদার আট ভাগের এক ভাগ রক্ত সরবরাহ করছে কোয়ান্টাম। আলোচনা শেষে আমন্ত্রিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় আট লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি।
এসি