ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জাবির হল ভাংচুর

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হলের দুটি কক্ষ ভাংচুর করা হয়েছে। আবাসিক হলটির জব্বার ব্লকের ২৩৭ ও ২৩৮নং রুম ভাংচুরের বিষয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম ব্যাচের আহ্সান আমিন ফাহিম ও মো: সোহেল রানাসহ ৪৭তম ব্যাচের চারজনের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর এ অভিযোগপত্র জমা দেন। যাত্রিবাহী

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর হল মাঠে চলমান টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে ২ ডিসেম্বর রাতে ২টায় শহীদ রফিক জব্বার হলের ৪৭তম ব্যাচের কতিপয় শিক্ষার্থী আয়োজক ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে আনুমানিক রাত ৩টায় ৪৭তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের মোস্তফা ফয়সাল রাফি, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের হাসান আল মাসুদ, বাংলা বিভাগের অলক কুমার পাল ও ইতিহাস বিভাগের আকাশ তালুকদার ২৩৭ ও ২৩৮নং কক্ষে বেপরোয়াভাবে ভাংচুর চালায়। 

ঘটনার পর ওই রাতেই হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান জানান, শহীদ রফিক জব্বার হলের রুম ভাংচুরের ঘটনার একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। তবে এটা হলের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। হল প্রভোস্ট এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রয়োজন হলে প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ও দর্শকের স্লেজিং করাকে কেন্দ্র করে খেলোয়াড়দের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এর জেরে দুটি রুমের জানালা ও হল মসজিদের সামনের ফুলের টব ভাংচুর করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খেলার আয়োজক কমিটির সদস্য ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কেফায়েত বলেন, ম্যাচ শেষে ৪৭তম ব্যাচ বিপক্ষ দলের আচরণ ও আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাঠ ছাড়ে। আয়োজক কমিটি মাঠে আসতে বললেও পরপর দুটি ম্যাচে তারা মাঠে আসেনি। পরে সমঝোতার জন্য উভয়পক্ষের সাথে আমরা বসি। কিন্তু ৪৭তম ব্যাচ সিদ্ধান্ত না মেনে উগ্রভাবে রুম থেকে বের হয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা মসজিদের সামনে ফুলের টব এবং ২৩৭ ও ২৩৮নং রুমের গ্লাস ভাংচুর করে।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘ঘটনা শোনার সাথে সাথেই হল পরিদর্শন করি। খেলাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি সাধনের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে হল আইনে শাস্তি প্রদান করা হবে।’ 

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার পর থেকেই হলের বাহিরে আছেন। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি। 

প্রসঙ্গত, গত শনিবার শহীদ রফিক-জব্বার হলের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ২১টি দলের অংশগ্রহণে শুরু হয় ৭দিন ব্যাপী ‘ইয়াকুব-মিশু স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২১’।

এএইচ/