মেয়র আব্বাসের অবৈধ দুই মার্কেট উচ্ছেদ
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৩২ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০১:৩৭ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার সরকারি খাল দখল করে মেয়র আব্বাস আলীর নির্মাণাধীন দুটি মার্কেট গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার সকাল ৯টায় বুলডোজার দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু করা হয়। ভবন দুইটি ভাঙায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভবন দুটি উচ্ছেদে তারা চিঠি পান। ৩০ দিন আগে উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর আইন অনুযায়ী আজ ভবন দুটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টার মধ্যেই উচ্ছেদ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য চলে আসে জেলা প্রশাসন। শ্রমিক ও বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। কিছু শ্রমিককে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেখা গেছে।
এই খবরে কাটাখালী বাজারে মানুষের ভিড় লেগে যায়।
ভবনটি এমন সময়ে ভাঙা শুরু হল যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মেয়র আব্বাস আলী কারাগারে।
বছরখানেক আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাটাখালী পৌরসভার ওপর দিয়ে যাওয়া খালটি ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পুনঃখনন করে। গত এপ্রিলের দিকে কাটাখালীর মেয়র সরকারি এই খালের ওপর ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সরকারি ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে খালের ওপর প্রায় ১ হাজার ১৪৪ বর্গফুট জায়গাজুড়ে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এখানে ইতিমধ্যে দুইতলা ভবন উঠে গেছে। এই ভবনে দোকান হবে ২১টি।
অন্যদিকে, ব্রিজের উত্তরপাশে খালের ওপর আরেকটি ভবনের দুইতলা উঠে গেছে। এই ভবনে দোকান হবে মোট ছয়টি।
সরকারি খালের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেন পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত আগস্ট মাসে পবা উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েক দিন কাজ বন্ধ থাকলেও পরে আবার জোরেশোরে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপের জন্য চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। চিঠি দেওয়ার প্রায় দুই মাস পর ভবনটি ভাঙা শুরু করল প্রশাসন।
এএইচ/