ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শিশু ইয়ামিন অপহরণ-হত্যার ঘটনায় আটক ৪

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার

নরসিংদীর রায়পুরায় অপহরণের পর শিশু ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় মূল হোতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ৫ দিন পর প্রবাসীর ৮ বছরের শিশু ইয়ামিনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ও পিরিজকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উত্তর বাখরনগর গ্রামের সিয়াম উদ্দিন, রাসেল মিয়া, মো: সুজন মিয়া ও কাঞ্চন মিয়া।

এর আগে নিখোঁজের ৫ দিন পর শুক্রবার সকালে উত্তর বাখরনগর গ্রামের একটি ডোবা থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল উদ্দিনের ৮ বছরের অপহৃত শিশু সন্তান ইয়ামিনের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গেমিং ল্যাপটপ কেনার টাকা যোগাড় করতে শিশু ইয়ামিনকে অপহরণ করে দাবিকৃত মুক্তিপণ না পেয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃতরা। 

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত স্কচটেপ, বালিশ, মুঠোফোন এবং সিম আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশ। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, টিভিতে সিআইডি ও ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে গেমিং ল্যাপটপ কেনার টাকা যোগাড় করতে উত্তর বাখরনগর গ্রামের প্রবাসী জামাল মিয়ার ৮ বছরের ছেলে ইয়ামিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে একই এলাকার দুই কিশোর সিয়াম ও রাসেল। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের দিন বাড়ির পাশের দোকানের সামনে থেকে শিশু ইয়ামিনকে খেলার ছলে অপহরণ করা হয়। পরে সিয়ামের বাড়ির নির্জন একটি কক্ষে হাত, পা ও মুখ বেধে বস্তায় ভরে আটকে রাখা হয় তাকে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এসময় স্ক্রিপ্টেডবায়া অ্যাপস ব্যবহার করে ভিপিএন-এর মাধ্যমে পরিবারের নিকট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বালিশ চাপা দিয়ে শিশু ইয়ামিনকে হত্যা করা হয়। 

পরে সিয়ামের বাড়ির গোয়াল ঘরের উপর বস্তাবন্দী করে লাশটি লুকিয়ে রাখা হয়। ৪ দিন পর রাতের অন্ধকারে লাশটি গ্রামের একটি ডোবায় ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। পরদিন শুক্রবার সকালে ইয়ামিনের মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। 

খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান সাহেব আলী পাঠান।

এএইচ/