৬ ডিসেম্বর : সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার
‘সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস’ ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিন সুনামগঞ্জ শহর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা শহর ছেড়ে পিছু হটে পাকবাহিনী। হানাদার মুক্ত হয়ে সুনামগঞ্জ শহর ‘জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে মুখরিত হয়।
এ দিন সুনামগঞ্জ শহরের প্রতিটি এলাকার ঘরে ঘরে ওড়ে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা। অবশ্য সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবসের দিনেই সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রনেতা মুক্তিযোদ্ধা তালেব উদ্দিনসহ ৩ মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে পালায় পাক হায়েনারা। এই ঘটনাটি ছিল সুনামগঞ্জের মুক্তিকামী মানুষের জন্য বেদনাদায়ক।
জানা যায়, ৫ নম্বর সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ মোতালেব বেরিগাওঁ, ক্যাপ্টেন যাদব আমবাড়ী বাজার এলাকা ও ক্যাপ্টেন রঘুনাথ সুনামগঞ্জ শহরতলির গৌরারং এলাকা হয়ে মুক্তিপাগল সেনাদের নিয়ে এ দিন ভোরে একযোগে সুনামগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সাঁড়াশী অভিযানের মুখে পালিয়ে যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
এর আগে ২৭ নভেম্বর পাকসেনারা চারদিক দিয়ে আটঘাট বেঁধে আক্রমণ চালানোর কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে পাশের গোধীগাঁও, নৈদেরখামার ও মীরেরচর এলাকায় এসে অবস্থান নিয়ে পাকসেনাদের সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালান। এক পর্যায়ে তৎকালীন মহকুমা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ছাত্রনেতা মুক্তিযোদ্ধা তালেব উদ্দিন এখানে আটকা পড়েন। পাকবাহিনী সুনামগঞ্জ ছেড়ে যাবার সময় (৬ ডিসেম্বর’ ১৯৭১) আহসানমারায় তালেবসহ ৩ জনকে একরশি দিয়ে বেঁধে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে যায়। ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত হওয়ায় সকলে আনন্দিত হয়ে উল্লাস করলেও তালেব উদ্দিনসহ ৩ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু সহযোদ্ধাদের কাঁদায়। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেকেই শহীদ তালেবের নাম-পরিচয়ই জানেন না।
এদিকে মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
এসএ/