ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্নুৎপাত, প্রাণহানি বেড়ে ৩৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা

উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে আবারও অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এখনও নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ। যাদের উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেই মঙ্গলবার জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা।

গেল শনিবার দেশটির সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপের অন্যতম সক্রিয় এবং সর্বোচ্চ এই আগ্নেয় পর্বতটি থেকে ঘন জ্বলন্ত ছাই এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী উদগীরণ হতে শুরু করে। এতে ছেঁয়ে যায় আশপাশের গ্রামগুলো। 

উপর থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘন ছাই ও ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। সেখান থেকে একে একে উদ্ধার অভিযান শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং উদ্ধারকর্মীরা।

এ সময় ১৪ জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। পরে সোমবার আবারও উদগীরণ শুরু হয় এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন। 

খারাপ আবহাওয়ার কারণে ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের বের করে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার কর্মীরা। 

দেশটির আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র টুইটারে জানিয়েছেন, আগ্নেয়গিরিটির সক্রিয়তা অব্যাহত আছে, এজন্য সতর্কও করেছে তারা।

মেরু আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণাগারের প্রধান লিসওয়ান্তো রয়টার্সকে বলেন, “ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে সেমেরু একটি। ৪ ডিসেম্বরের উদগীরণের আগেও এটি সক্রিয় ছিল, পরেও এর সক্রিয়তা বজায় আছে এবং থাকবে।” 

শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই উদগীরণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই দগ্ধ হয়েছেন। 

ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে সেমেরু একটি। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল, তবে তখন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

হাজার দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কয়েকটি টেকটনিক প্লেটের প্রান্তসীমা রয়েছে এই এলাকায়, ফলে এখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় এবং একই কারণে সেখানে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: সিএনএন ও এনডিটিভি

এনএস//