পাকিস্তানের বোলারদের তোপে কাঁপছে বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
মিরপুর টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। শেষ দিনে ফলোঅন এড়াতে মাত্র ২৫ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। হাতে ছিল ৩টি উইকেট। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদের তোপের মুখে এই ২৫ রানও তুলতে পারেনি তারা। ফলে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সাজিদ খান ৮ উইকেট শিকার করেন। বাংলাদেশ শেষ দিন যে ১০ রান করেছে পুরোটাই এসেসে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। ৩৩ করে বাংলাদেশ ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৩০।
পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে দরকার ছিল ১০১ রান। চতুর্থ দিন ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। বুধবার শেষ দিন ১১ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট। বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ৮৭ রানে।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে মাঠে নামে মমিনুল বাহিনী। কিন্তু শুরুতেই উইকেটের পতন। নাজমুল হাসান শান্তর জন্য দুটি গালি রেখে বোলিং করছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। সেই পরিকল্পনা সফল হয় দারুণভাবে। একটি গালিতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত।
আফ্রিদির ডেলিভারিটি লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠে খানিকটা। সেটি সামলানোর সামর্থ্য ছিল না শান্তর। তিনি চেষ্টা করেন সফট হ্যান্ডে খেলার, তবে তার পরও বল রাখতে পারেননি নিচে। গালিতে সহজ ক্যাচ নেন ফাওয়াদ আলম।
১১ বলে ৬ করে আউট শান্ত। দলের প্রয়োজনের সময় হাল ধরতে পারলেন না মুমিনুল হকও। হাসান আলি পেলেন দ্বিতীয় উইকেটের দেখা।
রাউন্ড দা উইকেটে করা ডেলিভারি অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকে বাঁহাতি মুমিনুলের জন্য। ব্যাট আনতে একটু দেরি করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, বল লাগে প্যাডে। আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন মুমিনুল।
রিভিউয়ে তৃতীয় আম্পায়ার সময় নেন অনেকটা। বল আগে ব্যাটে লেগেছে নাকি প্যাডে, সেটি বুঝতে রিপ্লে দেখেন তিনি বারবার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রক্ষা পাননি মুমিনুল। বরং রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।
মুমিনুল বিদায় নিলেন ৮ বলে ৭ রানে। শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিংয়ের জবাব পেলেন না সাদমান ইসলাম। ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ দুই ওপেনারকে হারাল দ্রুতই।
শাহিনের দারুণ ডেলিভারি ও সাদমানের পায়ের কাজের দুর্বলতা মিলিয়েই এই উইকেট। ১৪২ কিলোমিটার গতির বলটি লেংথ থেকে ভেতরে ঢোকে তীক্ষ্ণভাবে। সাদমানের পা নড়েনি খুব একটা, জোড়াপায়ে ডিফেন্স করার চেষ্টায় তিনি ব্যর্থ হণ। বল লাগে পায়ে। আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি সাদমান। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল বেলসে।
১৫ বলে ২ রানে আউট সাদমান। প্রথম ইনিংসের মতো শূন্য রানে আউট হননি মাহমুদুল হাসান জয়। তবে খুব বেশিক্ষণ টিকতেও পারলেন না। অভিষেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হলেন তিনি ৬ রানে। প্রথম ইনিংসে বোলিং না পাওয়া হাসান আলি পেলেন ম্যাচে প্রথম উইকেটের দেখা।
হাসান আলির লেংথ ডেলিভারি খানিকটা ভেতরে ঢোকে অ্যাঙ্গেলে। খুব দুর্দান্ত কোনো ডেলিভারি নয়। তবে মাহমুদুল ব্যাট-প্যাডের মধ্যে বিশাল ফাঁক রেখে ড্রাইভ খেলার চেষ্টা করেন আলসেভাবে। বল ফাঁক গলে ছোবল দেয় স্টাম্পে।
এদিকে ৪২ রানে ৮ উইকেট, পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সেরা বোলিং পারফরম্যান্স এটি। অফ স্পিনারদের মধ্যে তাদের ইতিহাসের সেরা।
এসএ/