ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

দক্ষিণ কোরিয়ার ‘বেস্ট এক্সপোর্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেল বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫১ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৮:৫১ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

করোনা মহামারির মধ্যেও চ্যালেঞ্জিং ব্যবসার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘খান ট্রেডিং’কে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ‘বেস্ট এক্সপোর্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কোয়েক্স অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (কিটা) এই অ্যাওয়ার্ড দেয়। অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন উপস্থিত ছিলেন।

ষ্টিল এক্সপোর্ট ব্যবসার জন্য এর আগে ২০১১ সালে প্রথম রপ্তানি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল খান ট্রেডিং। প্রতিবছর ৪৪টি ক্যাটাগরিতে এক্সপোর্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে কিটা। চলতি বছর ৩ মিলিয়ন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছে খান ট্রেডিং।

বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই কোরিয়াতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। কেউ কোন কোরিয়ানের সাথে পার্টনারশীপে, কেউবা নানা উপায়ে কোরিয়ান সিটিজেনশীপ নিয়ে ব্যবসার সাথে জড়িয়ে আছেন। খান ট্রেডিং সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বাংলাদেশি সিটিজেনশীপ নিয়েই এককভাবে এই প্রতিষ্ঠান সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন।

জানা গেছে, খান ট্রেডিং প্রতিষ্ঠাতা শামিম খান কোরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ১৯৯১ সালে চুক্তি ভিত্তিক ভিসায়। কোরিয়া আসার পূর্বে পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বাবার সাথে করতেন কাপড়ের ব্যবসা। প্রায় এক দশক কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে ২০০০ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করেন কোরিয়াতে। হালাল ফুড থেকে শুরু করে চায়নিজ হোম অ্যাপলায়েন্স ইম্পোর্ট, নানা ব্যবসা করে শেষ পর্যন্ত থিতু হন ষ্টিল এক্সপোর্ট ব্যবসায়। 

ব্যবসায়ী পরিবারে বেড়ে ওঠা শামিম খানের ব্যবসার নানা কৌশল জানা থাকলেও ষ্টিল সম্পর্কে সামান্য ধারণাও ছিল না তখন। ছোট ভাই আকাশ খানের স্কুলবন্ধু বংশালের ষ্টিল ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের (স্বতাধিকারি সান স্টার ইন্টাঃ, প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড ষ্টিল ইম্পোর্ট এসোসিয়েশন) সদিচ্ছায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু হয় খান ট্রেডিংয়ের।

এসি