আফগানিস্তানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
গত আগস্টের মাঝামাঝিতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপরই সরকার গঠন করে তারা।
তবে ক্ষমতায় বসার পর সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, দেশটির সাবেক প্রশাসনে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা করছে তারা।
বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্প্রতি ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। খবর এএনআই
এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘হিউম্যান রাইটস গ্রুপের তথ্যানুযায়ী আফগান সাবেক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি।’
গত ৩০ নভেম্বর নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস গ্রুপ আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৭ সদস্যকে গুম ও হত্যার চিত্র তুলে ধরেছে। ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ওই সদস্যরা তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করে কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মাত্র চারটি প্রদেশের ১০০ জনের বেশি নিরাপত্তা বাহিনী গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস গ্রুপ। এসব ঘটনায় যৌথ বিবৃতি দিয়েছে-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, উত্তর মেসিডোনিয়া, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউক্রেন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যদের তথ্যানুযায়ী আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। এটি সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও তালেবান ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার বিপরীত। আমরা আহ্বান জানাই নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হোক এবং তাদের আগের পদমর্যাদা অনুযায়ী স্বীয় পদে যোগদান করানো হোক।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গুম ও হত্যার অভিযোগগুলো অবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্ত করা উচিত। এ ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে প্রচার করতে হবে। তালেবানের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তালেবানকে পরিমাপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এসি