হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নম্বরের জালিয়াতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নম্বর, কিন্তু তার ‘ডিপি’র (ডিসপ্লে পিকচার) ছবিটি যে অত্যন্ত প্রিয় বন্ধুর। সেই ‘বন্ধু’র দাবি, এটি তার নতুন মোবাইল নম্বর। দিন দু’য়েক পর থেকেই ‘বন্ধু’টি জানায়, সে অত্যন্ত বিপদে রয়েছে। তার টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ‘বন্ধু’র পাশে দাঁড়িয়ে তাকে টাকা পাঠালেই পড়তে হবে জালিয়াতের ফাঁদে।
তাই হতে হবে সতর্ক। হোয়াটসঅ্যাপের ‘ডিপি’তে বহুদিনের পুরনো বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তির ছবি থাকলেও নম্বরটি যদি হয় অচেনা তাহলেই হতে পারে বিপদ।
পুলিশ জানিয়েছে, যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়েই ‘শিকার’ বেছে নিচ্ছে জালিয়াতরা। মূলত সেই পুরুষ বা নারীর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটছে তারা। বেনামে নেওয়া নতুন মোবাইল নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করে তার পরিচিত কোন ব্যক্তির ছবি দিয়ে তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই তারা জেনে নিচ্ছে ‘শিকারে’র যাবতীয় তথ্য।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পুরনো বন্ধু বা অত্যন্ত পরিচিত কারও ডিপি হোয়াটসঅ্যাপে দেখে অনেকেই সন্দেহ করেন না। সেই সুযোগ নিয়ে জালিয়াতরা দু-একদিন হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজে মামুলি কথাবার্তা চালায় অভিযোগকারীর সঙ্গে। এর পরই হঠাৎ জানায়, সে অথবা তার পরিবারের কোনও লোক ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে অথবা কখনও জানায়, সে বাইরে গিয়ে বিপদে পড়েছে। তার হাতে টাকা নেই। এখন কিছু টাকা পাঠালে পরে সে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। অনেকেই সেই ‘বন্ধু’র পাশে দাঁড়াতে গিয়ে টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে তাকে একটি বিশেষ ই-ওয়ালেট অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। টাকা পাঠানোর পর ওই ই-ওয়ালেট অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় জালিয়াত।
অনেক সময় দেখা গেছে, টাকা পাঠানোর পর ডিপির ছবি তুলে নেয় জালিয়াতরা। আবার কখনও অভিযোগকারীকে ‘ব্লক’ও করে দেওয়া হয়। সন্দেহের বশে ওই নম্বরে ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায় না। তখন ওই বন্ধু বা পরিচিতর আসল মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানা যায়, তিনি জালিয়াতের ফাঁদে পা দিয়েছেন।
গোয়েন্দাদের মতে, কয়েক বছর আগে একই পদ্ধতিতে পরিচিত ব্যক্তির নামে ভুয়া ই-মেল পাঠিয়ে জালিয়াতি করত নাইজেরীয় জালিয়াতরা। তাই এই জালিয়াতির পিছনেও ওই বিদেশি জালিয়াতরা রয়েছে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/এসবি