যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে প্রাণহানি শতাধিক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার
টর্নেডোর আঘাতে কেন্টাকিতে ধ্বংসযজ্ঞের একটি চিত্র
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্টাকিতে টর্নেডোর মুহূর্মুহূ আঘাতে কমপক্ষে একশ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বহু সংখ্যক লোক আহত হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন রাজ্যটির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার। স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
অ্যান্ডি বেসিয়ার শনিবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে, এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৭০ থেকে ১০০-এর কাছাকাছি। এসময় তিনি তাঁর রাজ্যে আঘাত হানা এই টর্নেডোকে ‘কেন্টাকির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক টর্নেডো’ বলে অভিহিত করেন।
প্রাথমিক তদন্তে আভাস পাওয়া গেছে যে, পরপর চারটি টর্নেডো রাজ্যটিতে আঘাত হানতে পারে। যার মধ্যে গত রাতে আঘাত হানা ঝড়টি ২০০ মাইলেরও বেশি জায়গাজুড়ে স্থলভাগে অবস্থান করেছিল বলেই জানান বেসিয়ার। যা পশ্চিম কেনটাকিজুড়ে বিস্তৃত অন্তত ১৫টি কাউন্টিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে গ্রেভস কাউন্টিতে উল্লেখ করে তিনি সিএনএনকে বলেন, বিশেষ করে মেফিল্ড শহরে ক্ষয়ক্ষতিটা বেশি হয়েছে। বেসিয়ার বলেন, ‘এটি মেফিল্ডকে যতটা শক্তভাবে আঘাত হেনেছে ঠিক ততটা আঘাত অন্য কোনও শহরে হয়নি।’
রাতে এই টর্নেডো আঘাত হানার সময় মেফিল্ডের একটি মোমবাতি কারখানায় প্রায় ১১০ জন লোক ছিল এবং বেসিয়ার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরা অন্তত কয়েক ডজন লোককে হারাব।’
এদিকে, এই ঘটনাকে ‘একটি গুরুতর এবং ব্যাপক বিপর্যয়ের ঘটনা’ উল্লেখ করে রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ডরসেট বলেন, ‘অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে, যদিও এলাকায় এখনও ঝড়ের প্রভাব বিদ্যমান।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ঝড়ের একটি সারির অংশ হিসাবেই টর্নেডোটি শুক্রবার রাতে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আঘাত হানে।
মার্কিন সরকারি তথ্য অনুসারে, মেফিল্ড হল প্রায় ১০ হাজার জনসংখ্যার একটি শহর। যেখানকার আঘাত হানা বিল্ডিংগুলোর মধ্যে গ্রেভস কাউন্টির কোর্টহাউজ এবং সংলগ্ন জেলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার অনেকগুলোই ধসে পড়েছে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, নোয়া স্টর্ম প্রেডিকশন সেন্টারের মতে- আরকানসাস, ইলিনয়, কেন্টাকি, মিসৌরি এবং টেনেসি- যুক্তরাষ্ট্রের এই পাঁচটি রাজ্যে কমপক্ষে ২৪টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে আরকানসাস, ইলিনয় ও মিসিসিপি কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এনএস//