গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন? ওষুধ ছাড়াই সমাধান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়। সাম্প্রতিক অগোছালো জীবনধারায় ঘন ঘন গ্যাসের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়িতে আর কোনও ওষুধ থাকুক আর না থাকুক, গ্যাসের ওষুধ পাওয়া যাবেই। কিন্তু একটু সমস্যা হলেই একগাদা ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একেবারেই ভাল নয়। তাই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত উপায়গুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
>কখনও কখনও টাইট পোশাক অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। তাই ঢিলেঢালা হালকা পোশাক পরার চেষ্টা করুন, স্বস্তি পাবেন।
>আপনার যদি মাঝেমধ্যেই গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে alkalizing effect রয়েছে, যা শরীরে অ্যাসিডের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই পানিতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
>পানির সাথে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলেই যথেষ্ট। বেকিং সোডাতেও alkalizing effect রয়েছে, যার ফলে স্বস্তি মেলে।
> গ্যাসের সমস্যা হলে শুয়ে থাকার পরিবর্তে, দাঁড়ানো কিংবা বসে থাকার চেষ্টা করুন। খাদ্যনালীতে অ্যাসিডের প্রবেশ কমাতে শরীরের উপরের অংশ উঁচু করে রাখার চেষ্টা করুন। এটি গ্যাসের সমস্যা থেকে স্বস্তি দিতে পারে।
>আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি চুইংগাম চিবাতে পারেন। চুইংগাম পাকস্থলীর গ্যাস কমাতে পারে। এটি লালার কারণে অ্যাসিডকে পাতলা করে।
>আপনার যদি ঘন ঘন গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে আপনি কী ওষুধ খাচ্ছেন তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার চেষ্টা করুন। কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলি গ্যাস হওয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যেমন - অ্যান্টিবায়োটিক, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট, ব্যথানাশক, প্রভৃতি।
>ধূমপানও কিন্তু গ্যাস হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই অবিলম্বে ধূমপান ত্যাগ করুন।
>গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধের সেবন অত্যন্ত উপকারি হতে পারে। ঠান্ডা দুধের পান, গ্যাসকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া, আপনার যদি ঠান্ডা লাগার সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনি আইসক্রিমও খেতে পারেন।
>বহু যুগ ধরে গ্যাসের সমস্যায় বাটার মিল্কের ব্যবহার চলে আসছে। এটি বুকজ্বালা প্রশমিত করতে দুর্দান্ত কার্যকরী। বাটার মিল্ক পাকস্থলীতে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/এসএ