জাবিতে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড হিজ লিগ্যাসি' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটরিয়ামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম উপস্থিত অতিথিদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান।
উদ্বোধনকালে ড. ফারজানা ইসলাম বলেন,‘এই বছরটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশবর্ষ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েরও পঞ্চাশতম বর্ষ। বঙ্গবন্ধু তার এই ক্ষুদ্র জীবনে কি করেননি? একটি দেশ, একটি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, সংবিধান দিয়ে গেছেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও, তাকে কাজে কর্মে আমরা স্মরণ করছি। আমরা নারীরা মুজিব কোট হয়তো পরি না, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে, তার আদর্শকে অন্তরে ধারণ করি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাংলা, বাঙালী, বাংলার ইতিহাস এবং সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানতে ও শুনতে আগ্রহী আমি। বাংলাদেশ এমন একটি পর্যায়ে এসেছে, এখন আমাদের সময় এসেছে কাজ করার, নির্জীব নিষ্প্রাণ হয়ে বসে থাকার সময় এটি নয়। আর এই সুযোগ যিনি করে দিয়েছেন, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা।’
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শুধু নিজের প্রশংসা করলে হবে না। আমরা ব্যাথা পাই যখন খেলার মাঠে ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলো ঘটে, আমরা ব্যাথা পাই যখন হলি আর্টিজানের মত ঘটনা ঘটে, ব্যাথা পাই যখন ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণ করা হয়।’
সম্মেলনে ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘আমি এই দুদিনব্যাপী আলোচনাচক্রে ভারত থেকে আসতে পেরে এবং অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দবোধ করছি। আমি এমন একজন ব্যক্তির জন্য এখানে এসেছি, যিনি শুধু বাংলাদেশের স্রষ্টায় নন, একই সাথে একজন আন্তর্জাতিক মানের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। একটি দেশ ও জাতির স্রষ্টা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খুব কমই গবেষণা হয়েছে। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নব্যসৃষ্ট বাংলাদেশকে পরিচিত করতে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা প্রচারে খামতি রয়ে গেছে। এসব বিষয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে।’
উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জয়ন্ত সিংহ রায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সটি ১৩ ডিসেম্বর সোমবারে সমাপ্ত হবে। এ কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধুর উপর ১০২ টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, জার্মানি ও সুইডেনের খ্যাতিমান গবেষকগণ।
কেআই//