ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

 ৯ সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান এফবিসিসিআই`র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:০৭ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

মুক্তিযুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখায় ৯ সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করেছে এফবিসিসিআই।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে পহেলা ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এফবিসিসিআই'র ১৬ দিনব্যাপী ‘বিজয়ের ৫০ বছর: লাল সবুজের মহোৎসব’ এর ১৪তম দিনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

ছায়ানটের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম (শাকিল)। বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আলম তপন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম মোহাম্মদ ইদু, খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল চৌধুরী ও শমী কায়সার, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কচি-কাঁচার মেলার সহ-সভাপতি আল্পনা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুঈদ চৌধুরী ওয়ালিদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা জাকের ও প্রজন্ম '৭১ এর সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়, সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস সম্মাননা গ্রহণ করেন। 

এসময় এফবিসিসিআই'র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা। বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জল রাখতে ভবিষ্যতেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নতির স্বপ্ন দেখে সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু।  তিনি যখন যখন বুঝলেন বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতিতে স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই, তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন ধ্বংসস্তুপ বাঙালি জাতি আজ খাদ্যে পরিপূর্ণ, রাস্তাঘাট উন্নত। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭১ এর এই দিনে আমরা শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের হত্যা করা হয় এই দিনে। ঘাতকরা চেয়েছিলো বাংলাদেশকে হত্যা করতে; কিন্তু তারা জানেনা ব্যাক্তিকে হত্যা করা যায়, ব্যক্তির আদর্শকে না। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বলেন। 

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ১৪ই ডিসেম্বর বাঙালী জাতির এক কলঙ্কের অধ্যায়। বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো এই দিনে। কিন্তু তাদের পরিকল্পিত চক্রান্ত সফল হয়নি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। সংগঠনগুলোকে এই সন্মাননা দিতে পেরে গর্বিত মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজ এই পর্যায়ে আসার পেছনে সংগঠনগুলোর অবদান অনেক। 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই দিনে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেইসব মানুষেরা যাদের জন্য আজকের এই লাল সবুজ পতাকা। এসময় বঙ্গবন্ধুর নামে তুরস্কে পার্ক হওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, এই পার্ক দিয়ে মানুষ যতদিন হাটবে ততদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে স্মরন করবে। 

এসি