সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা
ড. প্রণব কুমার পান্ডে
প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ এই দিনে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের, কারণ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছেন। ২০২১ সালের সুবর্ণজয়ন্তী আমাদের জন্য আরো অর্থবহ হয়েছে, কারণ এই বছরে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করেছি। এই দিক থেকে বিবেচনা করলে ২০২১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য ঐতিহ্য বহন করবে অনেক দিন।
বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ এবং দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার জনগণ স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল। ১৯৫০ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একটি ঐতিহাসিক নাম। খুব অল্প বয়স থেকেই তিনি বাংলার মানুষের বঞ্চনার বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। তাই ১৯৬০ সাল পরবর্তী সময়ে তিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে আওয়ামী লীগ এবং বাংলার জনগণকে সংগঠিত করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে তিনি কখনই তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। তাই সময়ের প্রয়োজনে তিনি তাঁর কৌশল পরিবর্তন করেছেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে তিনি কূটনৈতিক ভাষায় শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাই করেননি, একই সাথে তিনি স্বাধীনতার একটি রূপরেখা প্রদান করেছিলেন। একই সাথে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেওয়ার মূল কারণ ছিল পাকিস্তানী সামরিক সরকারের বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার তকমা লাগিয়ে কারাগারে প্রেরণ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বাধা দেওয়া। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তিনি কৌশলীভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছিলেন।
পরবর্তীতে ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে বাংলার জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করলেও তৎকালীন সময়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, বাংলার জনগণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে।
১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে লেগে যান। এ সময় তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বের যোগ্যতার পরিচয় প্রদান করেন। স্বাধীনতার পরে একটি স্বাধীন দেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল পাকিস্তানের। সে ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে দেশ একটি শক্ত ভিত্তির উপরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।
বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি লাভ করে এবং সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। তিনি ঠিক ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন তাঁর লক্ষ্য অর্জনের পথে। কিন্তু পাকিস্তানপন্থীরা কখনই চায়নি বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। আর এই কারণেই আওয়ামী লীগের কিছু বেইমান এবং সেনাবাহিনীর একটি অংশের চক্রান্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে তারা চেষ্টা করেছিল বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে। এমনকি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকার এবং পরবর্তীতে বিএনপি সরকার সবরকম চেষ্টা করেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক হয়ে গেছে বিধায় শত চেষ্টার পরেও তারা বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দেশীও ও আন্তর্জাতিক মহলের চক্রান্তের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে তাঁর সেই পরিকল্পনা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন শুরু হলে বাংলাদেশ পাল্টে যেতে শুরু করে। মাত্র ১২ বছরের সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব, সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। পৃথিবীর বড় বড় দেশের নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রায়শই প্রশ্ন করেন যে বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে কোন জাদুর কাঠি কাজ করেছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় একটি কথাই বলেছেন যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদ্দেশ্য যদি সৎ থাকে এবং তারা যদি পরিশ্রমী হন তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আর এই বক্তব্য সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশের জনগণ স্বপ্নেও ভাবেনি যে, বাংলাদেশ পদ্মা সেতু, কিংবা ঢাকা মেট্রোরেল, কিংবা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে। পদ্মা সেতুতে কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংক যখন অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন বাংলাদেশের জনগণ ভাবতে পারেনি যে এই রকম একটি মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের মতো সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কিংবা, নদীর তলদেশে টানেল কোনোটিই এখন আর স্বপ্ন নয়। সবগুলোই এখন বাস্তবতা। পদ্মা সেতুর পিলারের উপর স্প্যান বসানোর সাথে সাথে এটি দৃশ্যমান হয়েছে। আগামী বছরে জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয় অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণকে দেখিয়েছিলেন সেটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের সেবা অনলাইনে গ্রহণ করতে পারছে।
গত ১২ বছরে দারিদ্র্যের মাত্রা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। একই সাথে শিক্ষার হার বেড়েছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০৮ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনায় ২০২১ সালের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। দেশে এখন পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ গোটা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সমর্থ হয়েছে সরকার। কৃষকদের জন্য ভর্তুকিসহ বিভিন্ন সেক্টরে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে জনগণের কাছে অল্প খরচে সেবা প্রদান করছে সরকার। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে দেশ।
তবে অন্যান্য সকল সেক্টরের ব্যাপক উন্নয়ন থাকলেও শাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে দেশ। শাসন পরিমাপের সূচকে আরেকটু উন্নয়ন প্রয়োজন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স থাকলেও দলীয় কিছু নেতাকর্মীর দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার ঘটনা সরকারকে বিব্রত করছে। আমরা ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করেছি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। তবে, তাঁর নেওয়া পদক্ষেপগুলো অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে, যা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার। বিরোধী দল নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকার কারণে জনগণের মধ্যে নির্বাচন কেন্দ্রিক এক ধরনের অনীহা দেখা যাচ্ছে। এখানেও সরকারকে গভীর মনোযোগ দিয়ে বিকল্প ভাবতে হবে।
এমনকি রাজনীতিতে শিষ্টাচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা তা দেশবাসীর দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার টেলিফোন সংলাপ ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিয়েছিল সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে তা দূর হয়েছে। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে রাজনীতিতে শিষ্টাচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের একার নয়। অতি সম্প্রতি বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে নোংরা মন্তব্য করেছেন বিএনপি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সেই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, শিষ্টাচারবহির্ভূত রাজনীতি করা বিএনপির কাজ।
২০২০ সালের শুরুর দিক থেকে চলা কোভিড-১৯ অতিমারির তাণ্ডব সরকার পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় খুব ভালভাবেই মোকাবেলা করেছে। আমাদের দেশে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম ছিল। তাছাড়া জনগণের মধ্যে টিকা দেওয়ার হারের দিক থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। একই সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দর আগমন এই অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করবে। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির এই সফরের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে, ভারত এবং বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র এবং তাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে আগামী দিনগুলিতে।
আমরা জানি, কোনো সৃষ্টিই সম্পূর্ণ নয়। প্রত্যেকটি সৃষ্টিতে কিছু না কিছু অপূর্ণতা থেকেই যায়। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যে উন্নয়ন সাধন করেছে সেটি বিশ্ববাসী দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। তবে এটিও ঠিক যে দুই-একটি ক্ষেত্রে সরকারের সফলতার ঘাটতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন আমাদের যেমন গর্বিত করেছে, ঠিক তেমনিভাবে সুবর্ণজয়ন্তীতে জনগণ প্রত্যাশা করেছে যে পিছিয়ে থাকা সেক্টরগুলোতে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট থাকবেন। এতে করে জনগণের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনিভাবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আরো বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সুসংগঠিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাবার যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তাঁর হাত ধরেই আমরা উন্নত বিশ্বে পদার্পণ করব- এটিই হোক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশবাসীর প্রত্যাশা।
লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক।
এসবি/