৪২ কোটির মুকুটসহ যা যা পাচ্ছেন নতুন মিস ইউনিভার্স!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
হারনাজ কৌর সান্ধু
সুন্দরী বাছাইয়ের অন্যতম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার তরুণী অংশ নেন এই প্রতিযোগিতায়। ২০২১ সালের এই বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ভারতবাসীর ২১ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুকুটটি মাথায় পরেন চণ্ডীগড়ের তরুণী ‘হারনাজ কৌর সান্ধু’।
মিস ইউনিভার্স হওয়ার সুবাদে মুকুটসহ অনেক কিছুই পাচ্ছেন ২১ বছরের এই সুন্দরী তরুণী। শুধু এই মুকুটের দাম শুনলেই মাথা ঘুরে যেতে পারে আপনার।
জানা গেছে, মিস ইউনিভার্স খ্যাত এই মুকুটের দাম ৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি টাকারও বেশি। প্রায় এক কেজি ওজনের মুকুটটিতে রয়েছে ১ হাজার ৭৭০টি হীরকখণ্ড।
জানা যায়, হারনাজকে দেয়া মুকুটটি প্রকৃতি, সৌন্দর্য্য, নারীত্ব, ঐক্য ও শক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। মুকুটটিতে ১৮ ক্যারেট সোনা, ১ হাজার ৭৭০টি হীরা ও মাঝখানে একটি ঢাল কাটা সোনার সঙ্গে ক্যানারি হীরা রয়েছে। এই হীরার ওজন ৬২ দশমিক ৮৩ ক্যারেট।
এখন পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে দামি মুকুট এটি। মুকুটটি তৈরি করেছে ‘মৌওয়াদ পাওয়ার অব ইউনিটি ক্রাউন’ নামের একটি প্রতাষ্ঠান। হারনাজের আগে এই মুকুট পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি ও মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া।
তবে শুধু দামি মুকুটই নয়, গোটা এক বছর ধরে নানান সুবিধাও ভোগ করবেন হারনাজ। তিনি আগামী এক বছরের জন্য নিউইয়র্কের একটি বিলাসবহুল পেন্টহাউসে থাকার সুযোগ পাবেন, যা থাকবে বিলাসবহুল সামগ্রীতে মোড়া।
মিস ইউনিভার্স বিজয়ী হওয়ার পর হারনাজ এখন মিস ইউনিভার্স সংস্থার প্রধান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। আর এ কারণেই পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারবেন তিনি। তাকে প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্ট সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। এ সময় তার পোশাক থেকে ত্বক, ডায়েট- এসবকিছুরই খেয়াল রাখার জন্য থাকবেন বিশেষজ্ঞরা।
হারনাজ আগামী এক বছরের জন্য পাবেন নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্ট। তিনি কী খাবেন, কীভাবে নিজের ত্বকের খেয়াল রাখবেন- সবকিছুই খুঁটিয়ে নজর রাখার জন্য থাকবেন আলাদা আলাদা মানুষ। এছাড়া প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের মাসোহারাও পাবেন হারনাজ।
উল্লেখ্য, সুস্মিতা সেন, লারা দত্তের পর তৃতীয় ভারতীয় সুন্দরী হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতেছেন হারনাজ। ২০০০ সালে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট মাথায় ওঠে লারা দত্তের আর সুস্মিতা সেন জেতেন ১৯৯৪ সালে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ডিএনএ
এমএম/এসবি