‘ধর্ষণ উপভোগ’ করতে বলে ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার
শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন ভারতের কর্ণাটক বিধানসভার সাবেক স্পিকার তথা কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার। ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে অসংবেদনশীল জঘন্য মন্তব্য করার পর তুমুল সমালোচনার মুখে শুক্রবার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন এই কংগ্রেস বিধায়ক।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমারের করা ধর্ষণ সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য নিন্দা জানান ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা। মূলত এরপর শুরু হওয়া সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন রমেশ কুমার।
নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, ‘আমি বিধানসভায় যে বক্তব্য রেখেছিলাম, তাতে যদি সমাজের কোনও অংশ, বিশেষ করে নারীরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দুঃখ প্রকাশ করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রমেশ কুমার বিধানসভার স্পিকারের উদ্দেশে অধিবেশনে বলেন, ‘একটা কথা আছে যে, ধর্ষণ অনিবার্য হলে শুয়ে পড়ুন এবং উপভোগ করুন। আপনি যে পরিস্থিতির মধ্যে আছেন ঠিক সেটাই।’
ঘটনা প্রেক্ষাপোট হচ্ছে- কংগ্রেস বিধায়করা তাদের নির্বাচনী এলাকায় বৃষ্টিজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলেন। আর তখনই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু হয়। স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি ওই সময় বিধানসভায় বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আর সেই সময়েই বিধায়ক রমেশ কুমার ওই মন্তব্য করে বলেন, এই বিষয়টা হেগড়ের উপভোগ করা উচিত।
এর আগেও ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রমেশ কুমার। তখন তিনি নিজেই বিধানসভার স্পিকার ছিলেন।
২০১৯ সালের ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার অবস্থা ধর্ষিতার মত হয়ে গেছে। ধর্ষণ মাত্র একবার হয় এবং আপনি সেটাকে ছেড়ে দিলে তা সময়ের সঙ্গে ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু যখন অভিযোগ করা হয় এবং অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হয়, তখন তদন্ত চলাকালীন একাধিকবার ধর্ষিত হতে হয়।’ সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//