হাসি, উৎসব ও গানে নিষেধাজ্ঞা! ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:০১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি কিম জং উন। একনায়কতন্ত্র ও কঠোর শাসক হিসেবেই বিশ্বে সমধিক পরিচিত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উঠেছে একাধিক অভিযোগ। কখনও নিজের চাচাকে হিংস্র কুকুরের মুখে ফেলে হত্যা করা, আবার কখনও দেশের সেনা প্রধানকে গুম করে দেয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি কিমের বিরুদ্ধে উঠেছে আরও কয়েকটি অভিযোগ। আর তা হল- কিম তাঁর দেশের মানুষের হাসি-খুশি থাকা, উৎসব উদযাপন ও উপভোগ করা, এমনকি এক রকমের গানের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কিম। শুধু তা-ই নয়, এই অপরাধে ইতোমধ্যে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এই শাসক।
জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান ‘কে পপ’। যে গানটি শোনার ‘অপরাধে’ সাত জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কিমের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে অন্তত সাত জনকে প্রাণদণ্ড দিয়েছেন কিম। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি ‘কে পপ’ শোনা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে শেয়ার করার ‘অপরাধে’। আর এই মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটেছে দেশটির হেসান প্রদেশে।
কিমের প্রথম পাঁচ বছরের শাসনকালে মোট ৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিমের এক চাচা থেকে শুরু করে দেশটির তৎকালীন সেনা প্রধানের নামও রয়েছে সেই তালিকায়।
এমনকি জানা যায় যে, সেই সময়ে কিমের নির্দেশে প্রিয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যপর দেখতে ঘনিষ্ঠদের বাধ্যও করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ওই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনের তরফে ৬৮৩ জন কিম-বিরোধী উত্তর কোরিয়ানদের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে কথোপকথন করার চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি ১১ দিনের জন্য উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কিম। দেশটির একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর, উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক তথা কিমের বাবা কিম জং ইল-এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রেডিও ফ্রি এশিয়া সূত্রে খবর, টানা ১১ দিন হাসা যাবে না উত্তর কোরিয়ায়। এমনকি এই সময়ে মদ্যপানও করা যাবে না দেশটিতে। এমনকি ছুটি কাটানো ও উৎসবে মেতে ওঠাও যাবে না এই সময়ে।
সঙ্গে দেশটির প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে নাগরিকদের। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//