ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

নোয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতা, আহত ৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই প্রার্থীর সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করেছে। পাল্টাপাল্টি এই হামলায় উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১নং ওয়ার্ড দেবীপুর গ্রামের ডিসলাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে ৩টি মোটরসাইকেলযোগে নেতাকর্মীসহ ডিসলাইনের দিকে আসছিল নৌকার প্রার্থী বাহাদুর। তারা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের সামনে আসলে অজ্ঞাত কয়েকজন তাদের গতিরোধ করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

খবর শুনে আ’লীগ প্রার্থীর লোকজন ছুটে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়।  

স্বতন্ত্র প্রার্থী দিপু অভিযোগ করে বলেন, মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাহাদুর ডিসলাইন এলাকায় আসেন। তার নেতৃত্বে উৎশৃঙ্খল কর্মীরা আমার অফিস ভাঙচুর করে। এসময় আমার সমর্থক শুভ, মারুফ, ইউনুস ও সাগরকে মারধর করে জখম করে তারা। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে কয়েকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন দিপু।

অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন বাহাদুর বলেন, সর্দার পাড়ায় উঠান বৈঠক শেষে তিনি ৩টি মোটরসাইকেল নিয়ে ডিসলাইন এলাকা হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিপুর কয়েকজন কর্মী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক ইমাম হোসেন রাসেল, আজম খান, নাজিম উদ্দিন ও রহমত উল্যাহ আহত হন। এ বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়েছে, জানান তিনি।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এএইচ/