বিশ্বসভায় এখন আকর্ষণের নাম বাংলাদেশ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার | আপডেট: ১২:১০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিভিন্ন সূচকে শুধু পাকিস্তানকে ছাপিয়ে যাওয়া নয়, বিশ্বসভায়ও বাংলাদেশ এখন আকর্ষণের নাম। একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ৫০ বছরী বাংলাদেশের নাম। একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এমনটাই বললেন।
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে যে দেশটির জন্ম, ৫০ বছরে এসে জানান দিচ্ছে নিজের শক্ত অবস্থান।
অনুন্নত, দারিদ্র্যপীড়িত একটা ভূখণ্ড কীভাবে সচ্ছল, সমৃদ্ধশালী হয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগের আধুনিকতম দেশে রূপান্তরিত হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত আজকের বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘৫০ বছরের মাথায় এসে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের যথেষ্ট অ্যাটেনশন বেড়েছে। যেটা অনেককেই অবাক করে দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে ৫০ বছর ধরে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরীতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতিতে সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেছে দেশ।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার উপর দাঁড়িয়ে কিন্তু ওই প্রিন্সিপ্যালটা করা হয়েছে। আমরা দেখাতে যাচ্ছি, এরকম একটি কাঠামো দিয়ে মানুষ আসলে আরও বড় হতে পারে।
নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্তরের বন্ধন অনস্বীকার্য; ৫০ বছরের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে দরকার উদার মনোভাব।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সেক্যুলার আইডেনটিভির উপর দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদের যদি সেক্যুলার না থাকে তখন আমরা অতোখানি উৎসাহী বোধ করি না। সেই জায়গাটায় হয়তো নজর দেওয়া প্রয়োজন আছে।’
দীর্ঘ ৫০ বছরে আর্থসামাজিক অনেক সূচকে বাংলাদেশ আগেই পাকিস্তানকে টপকে গেছে। এতে তুষ্ট না হয়ে এবার দেশটির সঙ্গে আজও অমীমাংসিত থাকা ইস্যুগুলো সমাধানে গুরুত্বারোপের তাগিদ- এই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পাকিস্তান এখনও আমাদের যে জেনেসাইড হয়েছে সেটা স্বীকার করেছি। বিশেষ করে যারা ওয়্যার ক্রাইম বা জেনেসাইড করেছে তাদের যে বিচারের ব্যাপারটা সেগুলো এখনও তারা করেনি। আমি মনে করি যে, সেগুলো যখন হবে, ৭১কে তারা যখন খোলাখুলিভাবে স্বীকার করে নিবে তখন সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে বাঁধা থাকবে না।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বাংলাদেশের অর্জন এগিয়ে যাবার-অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার। পরবর্তী পঞ্চাশে তা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা।
এএইচ/