ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রেম করার অভিযোগ তুলে শ্লীলতাহানী, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৫৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার

নিহত স্কুলছত্রী ও আসামি সাদ্দাম হোসেন

নিহত স্কুলছত্রী ও আসামি সাদ্দাম হোসেন

নওগাঁর মান্দায় প্রেম করার অভিযোগ তুলে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অপমান সইতে না পেরে বেবী আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার মান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাগড়া উত্তরপাড়া গ্রামে। 

নিহত স্কুলছাত্রী বেবী আক্তার ওই গ্রামের সলিম উদ্দিন শাহের মেয়ে ও মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

এ ঘটনায় মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে রোববার ছয় জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করলে পুলিশ এদিনেই অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেন (২৮) নামে মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাদ্দাম হোসেন পাশের কয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ শাহের ছেলে। তাকে এদিন বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মৃতের চাচা সাইফুল ইসলাম জানান, বেবী আক্তারকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের মেয়ে রীমা বেগম কৌশলে তাঁদের বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় ওই বাড়িতে কয়াপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে সুইটি বেগম, তার মা আনজুয়ারা বিবি, রীমার স্বামী সাদ্দাম হোসেনসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কুসুম্বা দীঘিরপাড়া গ্রামের চয়নুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেনের সঙ্গে বেবীর প্রেম চলছে- এমন অজুহাত তুলে তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে রীমার স্বামী সাদ্দাম হোসেন বেবীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনসহ শ্লীলতাহানী ঘটায়।

মৃতের বাবা সলিম উদ্দিন শাহ বলেন, প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের বাড়ি থেকে ছাড়া পেয়ে বেবী বাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা প্রকাশ করে দেয়। এ নিয়ে উভয় পরিবারের নারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িতে কোনও পুরুষ সদস্য ছিল না। মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানী করার অপমান সইতে না পেয়ে সকলের অগোচরে বেবী বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে মান্দা হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে বেবী মারা যায়। 

এসময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী বেবীর মৃত্যুর ঘটনার তার বাবা সলিম উদ্দিন শাহ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এনএস//