ডিম থেকে মোরগ না, শুধু মুরগির বাচ্চাই ফুটবে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৩:৪৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার
বেশিরভাগ মুরগীর খামারেই প্রায় অর্ধেক মুরগির বাচ্চা তেমন কাজে আসে না। কারণ সেগুলো মোরগ, তারা ডিম দিবে না। এ কারণে নাকি প্রতি বছর প্রায় ছয় থেকে সাত বিলিয়ন বাচ্চা মোরগ মেরে ফেলা হয়। এই সমস্যারই সমাধান ঘটাতে চলেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
তারা এমন একটি উপায় খুঁজে বের করেছেন, যার মাধ্যমে শুধু নারী মুরগির বাচ্চা উৎপাদন সম্ভব।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জন্মের পরপরই একটা পর্যায়ে মুরগীর বাচ্চাদের মধ্যে স্নায়ু ব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং তারা ব্যথাও বুঝতে পারে। তাই বাচ্চা মোরগ মেরে ফেলার বিষয়টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
এই কারণেই গবেষকরা এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যার মাধ্যমে ডিমে তা দেওয়া হবে কিন্তু সেগুলো ফুটবেনা।
লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের এই পদ্ধতি ইঁদুরের ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তারা মনে করছেন একই প্রক্রিয়া তারা মুরগীর ওপরে প্রয়োগেও সফল হবেন।
গবেষকরা এখানে ভ্রুণ তৈরিতে ব্যবহৃত একটি জিন নিস্ক্রিয় করার উপায় খুঁজে পেয়ছেন। এই প্রক্রিয়ায় ভ্রুনের মধ্যে নারী কিংবা পুরুষ যেকোনও একটির বেড়ে ওঠাকে থামিয়ে দিতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে বলে জিন এডিটিং ।
স্তন্যপায়ীদের লিঙ্গ নির্ধারণ হয় ক্রমোজমের মাধ্যমে। নারীদের এক জোড়া এক্স ক্রমোজম থাকে এবং পুরুষের একটি এক্স ও একটি ওয়াই।
এই প্রকৃয়ায় পিতার অর্ধেক ওয়াই ক্রমোজমকে সম্পাদন করা হয়। বাকি অর্ধেক সম্পাদনা করা হয় মায়ের ডিএনএতে।
সঙ্গমের পর পুরুষের এক্সওয়াই ভ্রুণটি যাতে জিন সম্পাদনা করা হয়েছে সেটি পরিপূর্ণতা না পায়, শুধু নারী ভ্রুণটিই পরিপূর্ণতা পায়।
সুত্র: বিবিসি বাংলা
এসবি