ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সকলের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৩:৫৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এর আলোকে সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রেখেই আগামীতে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই সকলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক এবং আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।”

শেখ হাসিনা সোমবার দুপুরে প্রথম বারের মত প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স এওয়ার্ড-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বেইলী রোডস্থ বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত মুল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, প্রতি বছর এই পদক প্রদানের মাধ্যমে আমাদের কূটনীতিকগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে অনুপ্রাণিত হবেন। পাশাপাশি, আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর কূটনীতিকগণও তাদের স্ব-স্ব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন শিকড়ে উন্নীত করতে উৎসাহিত হবেন।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই সকলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক এবং আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।”

“যেখানে কোন ক্ষুধা ও দারিদ্র থাকবে না। মানুষের দুঃখ ও কষ্ট দূর হয়ে মানুষ সুন্দর ও উন্নত জীবনের অধিকারি হবে-সেটাই আমাদের লক্ষ্য”, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাঁর সরকার ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে সমুদ্রসীমা সমস্যার সমাধান করেছেন।”

‘এটি আমাদের কূটনৈতিক সাফল্য’ উল্লেখ করে তিনি এই সফলতার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানান।

পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা সমস্যা সমাধানে জাতির পিতার উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও কিছু না করায় জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও মানবতাবাদী কূটনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষনে সরকার ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে দু’দেশ এবং জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি আমিরাতে বাংলাদেশের জন্য শ্রম বাজার উন্মুক্ত করায় ভূমিকার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল মেহরি এবং দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করায় এবং বর্তমান সরকারের আমলে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিজয়ের অভিযাত্রায় অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমকে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স এওয়ার্ড-২০২০ এ ভূষিত করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, দলের কেন্দ্রিয় নেতা এবং পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতার পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’ এওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ী কূটনিতিকদের নাম ঘোষণা করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল মেহরি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ‘শেখ হাসিনা বিমুগ্ধ বিস্ময়’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। 

সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক ও বিভিন্ন মিশন এবং সংস্থার প্রধানগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
এসএ/