ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিজয়ের ৫০ বছরে শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অর্জন (ভিডিও)

আকবর হোসেন সুমন

প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে বাংলদেশে। বছর শুরুর প্রথম দিনে নতুন বই, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি আর আশাতীত কারিকুলাম নতুন আশা জাগিয়েছে।

শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়- ব্যাপারটি অনুধাবন করেই স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার ৬৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেন। 

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ৬টি শিক্ষা কমিশন করে। পাকিস্তানী শোষক সরকারের দীর্ঘ ২৩ বছরে সবগুলো কমিশনই ব্যর্থ হয়েছিল। ছিল না শিক্ষার পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা। অথচ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ গঠনের ৭ মাসের মধ্যে কাজ শুরু করেছিল কুদরত-এ খুদা শিক্ষা কমিশন। যার মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষানীতি প্রণয়নের চেষ্টা হয়েছিল। 

১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শিক্ষায় নেমে আসে অন্ধকার। শিক্ষায় প্রগতির যে বীজ জাতির পিতা বুনেছিলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পর তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন কন্যা শেখ হাসিনা। 

২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হয়। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৭৩৬টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে শেখ হাসিনার সরকার। কাছাকাছি সময়ে ৫শ’র বেশি স্কুল ও কলেজ সরকারি হয়। অব্যাহত রয়েছে শিক্ষাখাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কাজ। 

২০০৮ সালে যেখানে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫১ শতাংশ, এখন তা প্রায় ৭৫ শতাংশ। প্রাথমিকে ভর্তির হার এখন শতভাগ। কমেছে ঝরে পড়ার হার। চিরবঞ্চিত পথশিশু আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীও যুক্ত হয়েছে শেখ হাসিনার শিক্ষা বাতায়নে। 

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর পর যে স্বাক্ষরতার হার বাংলাদেশে ১০ শতাংশের মতো ছিল, সেই স্বাক্ষরতার হার ৫ দশকে ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে।

৫ দশক পর শিক্ষাখাতের বড় ধাক্কার নাম করোনা মহামারি। সেটিকে চ্যালেঞ্জ মেনে ঘাটতি পোষাতে বদ্ধপরিকর বর্তমান সরকার। 

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আগে থেকেই শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার মান নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল, মান যে সঙ্কাটাপন্ন ছিল সেটি এখন বলতে গেলে মহা বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হতে পারে। যদি না যথাযথ ব্যবস্থা না নেই।

নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নও বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই করোনার জন্য চারটি জায়গায় আমাদের অর্জনটা ঝুঁকিতে পড়বে। একটি হলো যে, শিশুশ্রম বাড়তে পারে, দ্বিতীয়ত বাল্যবিবাহ বাড়তে পারে, তৃতীয়ত অপুষ্টির হার বাড়তে পারে। আর চতুর্থ হলো, লেখাপড়ার অপূরণীয় ক্ষতিটা।

এতো এতো সাফল্যের পরও শিক্ষাপ্রসারে খামতি একেবারে কম নয়। শিক্ষাকে পুঁজি করে বাণিজ্য, বিজ্ঞানমুখি
শিক্ষানীতি চালু না হওয়া ও মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব থাকায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণেও আছে শঙ্কা। 

এএইচ/