ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

তেল ও স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে চার সপ্তাহ দরপতনের পর আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে এ অস্থিরতা বিরাজ করছে।

ওয়েল প্রাইসের তথ্যমতে, সোমবার সাড়ে এগোরাটায় (ইডিটি) বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই ক্রুড আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার কমে বিক্রি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪৪ মার্কিন ডলারে। একই সময় ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৬৯ দশমিক ৬৯ মার্কিন ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ৮৩ ডলার বা ৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম।

অপরদিকে চার সপ্তাহ দরপতনের পর বিশ্ববাজারে আবার বেড়েছে স্বর্ণের দাম। বেড়েছে রুপার দামও। তবে কিছুটা কমেছে প্লাটিনামের দাম। গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। রুপার দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে এ সময়ে প্লাটিনামের দাম কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্বর্ণের দাম বাড়ার আগে টানা চার সপ্তাহ দরপতন হয়। এতে এক মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৭৯ ডলার বা ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ কমে যায়।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।

মূলত যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলো করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরই তেলের বাজার নিম্নমুখি।

যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, বড়দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে, ফলে ছুটির আগেই করোনাকালীন কঠোর বিধিনিষেধ ফের জারি হতে পারে। এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতিতে ফিরতে পারে তার দেশ। 

এদিকে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বড়দিনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যেতে পারে।

মহামারির নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কায় বড়দিন উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজন সীমিত করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। 

উল্লেখ্য, বিশ্বের ৮৯টি দেশে ইতোমধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলো ব্যাপক মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তেলের বাজারে আবারও বড় দরপতন দেখা যেতে পারে।

ঠিক একই ভাবে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে স্বর্ণের বাজারেও। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠা-নামার অন্যতম কারণ ডলারের দাম কম-বেশি হওয়া।
এসএ/