চীন-লাওস রেল নেটওয়ার্কে উদ্বেগে থাইল্যান্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
চীন-লাওস রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড। এই রেল নেটওয়ার্ক দেশটিতে চীনা পণ্যের অবাধ প্রবেশে ‘ফ্লাডগেট’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে দেশটি।
সংবাদমাধ্যম স্টার জানিয়েছে, সম্প্রতি থাই চ্যাম্বার অব কমার্স (টিসিসি) বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর ফলে থাইল্যান্ডের কৃষি অর্থনীতি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিযোগিতামূলক উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
টিসিসি আশঙ্কা করছে, নং খাই চেকপয়েন্টটি চীনা ফল ও সবজির প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। যদিও এর আগে বলা হয়, চেকপয়েন্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যের জন্য এখনও খুলে দেওয়া হয়নি। জাতীয় কৌশল ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ড. চাইয়াসিত তানতায়াকুল বলেছেন, থাইল্যান্ডের কৃষি ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে।
চাইয়াসিত তানতায়াকুল বলেন, ‘আলোচনার লক্ষ্য হল চীন-থাই বাণিজ্যের সমস্যাগুলো সমাধান করা। যেমন থাইল্যান্ড থেকে ফলের জন্য কঠিন শুল্ক ছাড়পত্রের সমস্যা। মন্ত্রণালয় দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যও কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি চীন থেকে ১০০টি কন্টেইনার আসে, তবে একই সংখ্যক কন্টেইনার চীনে যাওয়া উচিত।’
বর্তমানে উভয় পক্ষ নতুন রেলপথের মাধ্যমে চীনে অর্কিড এবং রাবার রপ্তানির দিকে মনোনিবেশ করছে। স্টার জানিয়েছে, ফলের মৌসুমের আগে ফল রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। থাই ফল ও সবজি ব্যবসায়ীরা বুঝতে পেরেছেন, চীন দ্রুত একটি প্রধান রপ্তানি বাজার হয়ে উঠছে।
২০২১ সালের প্রথম নয় মাসে চীনে থাই এসএমই পণ্যের রপ্তানি ছিল ১৮৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন বাথ মূল্যের। যেখানে চীন থেকে ৪৫৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন আমদানি করা হয়। প্রথম নয় মাসে চীন থেকে থাইল্যান্ডের মোট আমদানি দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন বাথ। সূত্র : এএনআই
এসি