ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

দর্শনা সীমান্তে ফেলে যাওয়া চার কেজি স্বর্ণ জব্দ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:২৫ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তে চোরাচালানি চক্রের ফেলে যাওয়া চার কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উদ্ধারকৃত চারটি সোনার বার প্রতিটি এক কেজি ওজনের।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ৬ বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপজেলার দর্শনা থানাধীন রামনগর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করেন।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিজিবি-৬ পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।

বলা হয়, মোট চারটি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি বারের ওজন এক কেজি। চারটি সোনার বারের বর্তমান বাজারমূল্য ২ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের জন্য দর্শনার রামনগরে এগুলো আনা হয়েছিল।

আরও বলা হয়, অতীতে কখনো এক কেজি ওজনের সোনার বার পাওয়া যায়নি। প্রথমবারের মতো এমন সোনার বার জব্দ করার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর, তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টায় চোরাকারবারিরা সোনা পাচার করছে এমন একটি খবর পাওয়া যায়। এরপর বিজিবির বিশেষ টহল দল অভিযানে নামে। দলটি সীমান্তের ৭৮ নম্বর মেইন পিলার থেকে দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রামনগর ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় চার কেজি ওজনের সোনার বার জব্দ করে।

তিনি আরও বলেন, ৭ ডিসেম্বর সকালে একই সীমান্তের মেমনগর এলাকা থেকে ২৩টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছিল। ওই চালানের ওজন ছিল ২ কেজি ৬৮৩ গ্রাম (২৩০ ভরি)। এই সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে রামনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিজিবির বিশেষ টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা সোনার বারসহ একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তা জব্দ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আসল সোনা হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল কবীর বলেন, এখন পর্যন্ত সোনার বার জব্দের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। 

লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। জব্দকৃত স্বর্ণ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। শনিবার দর্শনা থানায় একটি জিডি করা হবে।

এএইচ/