ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

৫৮ বছরে বিটিভি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার

বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রথম টেলিভিশন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৫ ডিসেম্বর। ১৯৬৪ সালের এই দিনে তৎকালীন ডিআইটি ভবন (বর্তমানে রাজউক ভবন) থেকে পাকিস্তান টেলিভিশন করপোরেশন নামে সম্প্রচার শুরু হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এর নাম বদলে হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন। ১৯৭৩ সালে করপোরেশন থেকে অধিদপ্তরে পরিবর্তিত হয়। ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয় বিটিভি।

১৯৬৪ সালে যাত্রার দিন থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিটিভির পর্দা ছিল ধ্রুপদি সাদাকালো ধারায়। ওই বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকে বিটিভিতে রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হয়। ২০০৩ সালে এসে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামে পৃথক স্টেশনসহ দেশজুড়ে ১৪টি রিলে স্টেশনের মাধ্যমে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ৯৩ শতাংশ এলাকায় পৌঁছে যায় বিটিভির অনুষ্ঠানমালা।

শুরু থেকেই বিটিভি টেরিস্ট্রিয়াল বা ভূকেন্দ্রিক সম্প্রচার করে। ফলে সাধারণ অ্যান্টেনার মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে বিটিভির সম্প্রচার উপভোগ করা সম্ভব হয়। ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল থেকে স্যাটেলাইট সম্প্র্রচারে যাত্রা করে বিটিভি ওয়ার্ল্ড। পাশাপাশি টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্র্রচার কেবল নেটওয়ার্কেও যুক্ত হয়। বর্তমানে একই সঙ্গে স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারে থাকা দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি। এক সময় মাত্র ছয় ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা বিটিভি বর্তমানে ১৭ ঘণ্টার টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্র্রচার এবং ২৪ ঘণ্টার স্যাটেলাইট সম্প্রচারে থাকছে।

আশির দশকে বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও নাটক অভূতপূর্ব দর্শকপ্রিয়তা পায়। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘যদি কিছু মনে না করেন’, ‘কথার কথা’, ‘ইত্যাদি’ প্রভৃতি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু কর্নার, ‘রঙ তুলিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী এবং বিটিভি এইচডি সম্প্রচার উদ্বোধন হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন।
এসএ/