সন্দ্বীপে আ.লীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলায় প্রতিবাদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১০:০৭ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান খান, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড আ. লীগ সভাপতি জাহেদ মেম্বারের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা, উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাজিবুল আহসান সুমন।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর রহমতপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা চালান। একই দিন সন্ধ্যায় দলের সভাপতি কামরুল হাসান খানের ওপর হামলা চালানো হয়। মারধর করা হয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আ.লীগের সভাপতি জাহেদ মেম্বারকেও।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ.লীগের সদস্য রাজিবুল আহসান সুমন বলেন, এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা সন্দ্বীপের দুর্দিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা ভয়াবহ ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি এবং মারাত্মক অসহায়ত্ব বোধ করছি। স্থানীয় এমপি’র প্রভাবে প্রশাসনও নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় আমাদের আজকে এই সংবাদ সম্মেলন। গত ২৩ ডিসেম্বর রহমতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, সন্দ্বীপে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার যাতাকালেপৃষ্ঠ, অত্যাচার নির্যাতন অবসানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই। ক্ষত-বিক্ষত সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগকে রাহুর কবল থেকে মুক্ত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মো.মিজানুর রহমান, মো. হুমায়ুন কবির, মশিউর রহমান বেলাল, মোশাররফ হোসেন লিটন, মো. মাসুদুর রহমান প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহানের লোকজন এসব হামলা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অনেক নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও দুই বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন মিশন সাংসদের সঙ্গে আঁতাত করে ত্যাগী ব্যক্তিদের কমিটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জামায়াত–শিবিরের লোকদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ কমিটি জেলা আওয়ামী লীগের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন নেতাকর্মীরা।
কেআই//